এ কে খান :
বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর চলমান “ইউথ লিডারশিপ পুরুষ প্রশিক্ষণের আওতায় ৭ জুলাই মৌলভীবাজার জেলার শ্রীমঙ্গল উপজেলায় বাস্তব ভিত্তিক উদ্যোক্তা কার্যক্রম পরিদর্শন অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই কার্যক্রমের মূল লক্ষ্য ছিল প্রশিক্ষণার্থীদের মধ্যে উদ্যোক্তা হওয়ার অনুপ্রেরণা জাগানো ও কর্মমুখী শিক্ষায় উৎসাহিত করা।পরিদর্শন কার্যক্রমে উপস্থিত থেকে নানা দিক নির্দেশনা দেন শ্রীমঙ্গল আনসার ব্যাটালিয়নের পরিচালক মোঃ এনামুল খাঁন ও মৌলভীবাজার জেলা কমান্ড্যান্ট উপপরিচালক মোঃ শাহ নেওয়াজ হোসেন। তাঁদের নেতৃত্বে প্রশিক্ষণার্থীরা শ্রীমঙ্গল উপজেলার ৫নং ওয়ার্ডের আনসার-ভিডিপি দলনেতা আল-আমিন মিয়ার পরিচালিত সফল নার্সারি প্রকল্প পরিদর্শন করেন।
নার্সারির বিভিন্ন কার্যক্রম স্বচক্ষে দেখে প্রশিক্ষণার্থীরা একজন সফল ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা হওয়ার বাস্তব দৃষ্টান্ত লাভ করেন।দলনেতা আল-আমিন মিয়া তার উদ্যোক্তা হওয়ার পেছনের প্রেরণা শুরু থেকে বর্তমান অবস্থান পর্যন্ত অভিজ্ঞতা এবং আনসার-ভিডিপি’র সহায়তায় কীভাবে তিনি আত্মনির্ভরশীল হয়েছেন—তা বিশদভাবে তুলে ধরেন। তার এই সফলতার গল্প প্রশিক্ষণার্থীদের গভীর ভাবে অনুপ্রাণিত করে। কর্মকর্তাগণ প্রশিক্ষণার্থীদের উদ্যোক্তা হওয়ার জন্য উৎসাহিত করেন এবং বাহিনীর মহাপরিচালক এর উদ্যোক্তা উন্নয়ন নীতিমালা ও সহায়ক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত করেন। তাঁরা জোর দিয়ে বলেন, একটি সমৃদ্ধ ও আধুনিক বাংলাদেশ গঠনে কর্মমুখী শিক্ষা ও উদ্যোক্তা মানসিকতা অর্জন যুব সমাজের জন্য অত্যন্ত জরুরি।পরে প্রশিক্ষণার্থীরা উপজেলা আনসার ও ভিডিপি শ্রীমঙ্গল কার্যালয় পরিদর্শন করেন। সেখানে তাঁরা বাহিনীর প্রশাসনিক কাঠামো, গঠন, কার্যক্রম, কমিউনিটি নিরাপত্তা ও উন্নয়ন মূলক কর্মকাণ্ডে বাহিনীর ভূমিকা সম্পর্কে বিস্তারিত ধারণা লাভ করেন। একই সাথে, তারা জানতে পারেন কীভাবে প্রশিক্ষণ শেষে স্থানীয় পর্যায়ে আত্ম কর্মসংস্থান ও জনসেবা মূলক কর্মকাণ্ডে সক্রিয় অংশ গ্রহণ করা যায়।
সবশেষে, প্রশিক্ষণার্থীরা শ্রীমঙ্গল উপজেলা পরিষদের সহকারী প্রকৌশলী কার্যালয় পরিদর্শন করেন। সেখানে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের পানি সরবরাহ, স্যানিটেশন, স্বাস্থ্যসম্মত ল্যাট্রিন স্থাপন, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা ও নিরাপদ পানির উৎস সংরক্ষণ বিষয়ক বিভিন্ন কার্যক্রম সম্পর্কে তাদের ধারণা দেওয়া হয়। এছাড়াও, গ্রামের সাধারণ জনগণের মৌলিক স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর কীভাবে কাজ করছে এবং এই খাতে উদ্যোক্তা বা স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে কাজ করার সম্ভাবনা—তাও বিস্তারিতভাবে তুলে ধরা হয়। এই ব্যতিক্রমী কার্যক্রম যুবকদের বাস্তব জীবনের সফলতা ও উন্নয়ন চিন্তাধারার সাথে সরাসরি সংযোগ তৈরি করেছে, যা তাদের ভবিষ্যৎ উদ্যোগ ও জনকল্যাণ মূলক কাজে আত্ম নিয়োগে বিশেষ ভাবে অনুপ্রাণিত করবে বলে সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন।
মন্তব্য