বিশেষ প্রতিবেদক
চুক্তি লঙ্ঘন করে গাজা*য় চলমান ইস*রাইলি গণ*হ*ত্যা এবং ভারতে পরিকল্পিত মুসলিম হ*ত্যা ও সাম্প্রদায়িক দাঙ্গায় রাষ্ট্রীয় মদদের তীব্র নিন্দা জানায় সাধারণ আলেম সমাজ।
যুদ্ধবিরতি চুক্তি সত্ত্বেও ইসরা*ইলের বর্বর বোমা হামলা ও সামরিক আগ্রাসন স্পষ্টতই মানবতার বিরুদ্ধে নিকৃষ্টতর যুদ্ধাপরাধ। ইবাদতের বসন্তকাল পবিত্র রামাদানে নিরীহ মুসলিমদের ওপর চালানো এই হামলা আন্তর্জাতিক আইন ও মানবাধিকারের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। এতে অসংখ্য নিরীহ মানুষ শহিদ হয়েছেন, যাদের উল্লেখযোগ্য সংখ্যক হলেন নারী ও শিশু।
পশ্চি*মা বিশ্ব বিশেষ করে মা*র্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও তাদের মিত্ররা ইসরা*ইলকে বরাবরই সামরিক সহায়তা ও সমর্থন দিয়ে এই গণহ*ত্যা*য় মদদ দিচ্ছে। মুসলিম নিধনে তাদের দ্বিচারিতা ও ইসলামবিদ্বেষী নীতি আজ পুরো বিশ্বে স্পষ্ট। একটি সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলিম দেশের প্রতিনিধিত্বকারী হিসেবে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রতি সাধারণ আলেম সমাজের দাবি :
১. ইসরা*ইলের ও তার সাহায্যকারীদের বিরুদ্ধে কূটনৈতিকভাবে কঠোর অবস্থান গ্রহণ করতে হবে এবং বাংলাদেশের পাসপোর্টে ‘এক্সেপ্ট ইস*রাইল’ পুনর্বহাল করতে হবে।
২. আন্তর্জাতিক আদালত, জাতিসংঘ এবং ওআইসি-তে শক্তিশালী কূটনৈতিক উদ্যোগ নিয়ে ইস*রাইলের যুদ্ধাপরাধের আন্তর্জাতিক তদন্ত ও শাস্তি নিশ্চিতের জন্য আনুষ্ঠানিকভাবে দৃশ্যমান কাজ করতে হবে।
৩. নিরীহ মানুষ হত্যার প্রতি পশ্চিমা বিশ্বের একতরফা পক্ষপাত, পশ্চিম ও ভারতের দ্বিচারিতা এবং মুসলিম নিধনের বিরুদ্ধে জাতিসংঘে আনুষ্ঠানিক নিন্দা প্রস্তাব উত্থাপন করতে হবে।
৪. বাংলাদেশে ইস*রাইলি পণ্য ও তাদের মিত্রদের পণ্য সমানভাবে নিষিদ্ধ করতে হবে।
৫. দক্ষিণ এশিয়ার মাফিয়াখ্যাত ভারতের ইসলামফোব কার্যক্রম, মানবতার নামে পক্ষপাতমূলক দ্বিচারিতা, সাম্প্রদায়িক দাঙ্গায় ইন্ধন ও মুসলিম-নিধনের কঠোর প্রতিবাদ করতে হবে এবং ভারতীয় হাইকমিশনকে তলব করে সংখ্যালঘু নির্যাতনসহ বিভিন্ন ইসলামফোব কার্যক্রমের বিরুদ্ধে স্থায়ী পদক্ষেপ নিতে বাধ্য করতে হবে।
কারণ, বাংলাদেশের মানুষ ভারতের এহেন কর্মকাণ্ড সাম্প্রদায়িক উসকানি হিসেবে দেখছে এবং আবহমান কাল ধরে ধর্মীয় সম্প্রীতি ও সহাবস্থান বিনষ্টে প্রভাবক হিসেবে কাজ করতে পারে বলে আশঙ্কা রয়েছে।
সর্বোপরি, ইসরাইলের অন্যায়ের বিরুদ্ধে বিশ্বব্যাপী মুসলিম উম্মাহকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে রুখে দাঁড়ানোর আহ্বান জানাচ্ছে সাধারণ আলেম সমাজ। কারণ, সাধারণ আলেম সমাজ মনে করে, ইসলামের বিরুদ্ধে চলমান ইসলামফোব কার্যক্রমের অবসান না হলে মুসলিম বিশ্বকে আরও কঠোর প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে।
মন্তব্য