মোঃ নাসির উদ্দিন,
স্টাফ রিপোর্টারঃ-
ঋণদাতা সংস্থা আইএমএফের লক্ষ্য পূরণে কঠিন চাপের মুখে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। বাড়তি রাজস্ব সংগ্রহে করছাড় কমিয়ে দেওয়াসহ নানা উপায় খুঁজছে সংস্থাটি। তবে তাদের চোখ যেন পড়ছে না ধনীর আয়ে।
আসছে বাজেটে শুধু উচ্চ ধনীর সম্পদে সারচার্জ বাড়ানো হতে পারে। এনবিআরের কর্মকর্তারা জানান, বাজেটে ব্যক্তির করমুক্ত আয়ের সীমা বাড়ানো হতে পারে। পাশাপাশি আয়কর রিটার্ন জমার বাধ্যবাধকতার ব্যাপ্তিও বাড়তে পারে।
বিবিএসের হিসাবে, যেকোনো সময়ের চেয়ে দেশে আয় বৈষম্য এখন বেশি। করোনার মধ্যে উচ্চ ধনী বৃদ্ধির শীর্ষ দেশের তালিকায়ও উঠে আসে বাংলাদেশ।
এনবিআরের সাবেক সদস্য মো. আলমগীর হোসেনের মতে, এমন বৈষম্যের পেছনে বড় কারণ ধনীদের থেকে সঠিক কর আদায় করতে না পারা।
তবে ধনীদের সম্পদে আরোপিত সারচার্জে কিছু পরিবর্তন আসছে। বর্তমানে সম্পদ তিন কোটি টাকা পর্যন্ত হলে সারচার্জ দিতে হয় না। আসছে বাজেটে এই সীমা বাড়িয়ে চার কোটি করা হতে পারে। আর সম্পদের পরিমাণ এক শ কোটি টাকার বেশি হলে কর ৩৫ থেকে বেড়ে ৪০ শতাংশ হতে পারে।
ব্যক্তির করমুক্ত আয়ের সীমা ৫০ হাজার টাকা বাড়িয়ে সাড়ে তিন লাখ করা হতে পারে। একইভাবে নারী, যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা ও জ্যেষ্ঠ নাগরিকের করমুক্ত আয়ের সীমা বাড়বে।
চলতি বাজেটে ৩৮ ধরনের সেবার বিপরীতে আয়কর রিটার্ন জমার প্রমাণপত্র দেখানো বাধ্যতামূলক করা হয়। আসছে বাজেটে সেবার তালিকায় যুক্ত হচ্ছে আরও কিছু খাত।
আগামী বাজেট নিয়ে ১৪ মে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করবে এনবিআর। সেখানেই এসব বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হবে।
মন্তব্য