এস চাঙমা সত্যজিৎ
স্টাফ রিপোর্টারঃ
খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদের আয়োজনে বৈসু, সাংগ্রাই, বিজু (বৈ-সা-বি) ও বাংলা নববর্ষ ১৪৩২ উপলক্ষে এক বর্ণাঢ্য র্যালি অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজ বুধবার ৯ এপ্রিল ২০২৫ সকালে খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদের প্রাঙ্গণ থেকে শুরু হওয়া এই র্যালির শুভ উদ্বোধন করেন খাগড়াছড়ি ২০৩ পদাতিক ব্রিগেডের রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শরীফ মোঃ আমান হাসান, এসপিপি, এনডিসি, পিএসসি।
খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান জিরুনা ত্রিপুরার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ভারত প্রত্যাগত শরনার্থী বিষয়ক টাস্কফোর্সের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কৃষ্ণ চন্দ্র চাকমা, খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসক এ.বি.এম ইফতেখারুল ইসলাম খন্দকার, খাগড়াছড়ি পুলিশ সুপার মোঃ আরেফিন জুয়েলের প্রতিনিধি ও সামরিক-বেসামরিক বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তাগণ। অনুষ্ঠানের ফাঁকে খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান জিরুনা ত্রিপুরা বলেন বৈ-সা-বি হচ্ছে পাহাড়ীদের প্রাণের উৎসব। সৌহার্দ্য ও সম্প্রীতির এক মিলনমেলা।
অনুষ্ঠানে পার্বত্য জেলা পরিষদের জনসংযোগ কর্মকর্তা চিংহ্লামং চৌধুরীর উপস্থাপনায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদের নবনিযুক্ত নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ আব্দুল্লাহ আল মাহফুজ।
বর্ণাঢ্য র্যালিতে পার্বত্য জেলার ত্রিপুরা, চাকমা, মারমাসহ বিভিন্ন পাহাড়ী জনগোষ্ঠীর পাশাপাশি বাঙালি সম্প্রদায়ের লোকজনও অনুষ্ঠানে অংশ গ্রহণ করেন। ঐতিহ্যবাহী পোশাকে সজ্জিত নানা বয়সী নারী-পুরুষ, শিশু-কিশোরসহ খাগড়াছড়ি শহরের বিভিন্ন স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা উৎসবমুখর পরিবেশে র্যালিতে যোগ দেন।
র্যালিটি শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে খাগড়াছড়ি পৌর টাউন হল প্রাঙ্গণে গিয়ে শেষ হয়। সেখানে আয়োজন করা হয় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের পরিবেশন করা হয়। এতে ত্রিপুরা জনগোষ্ঠীর ঐতিহ্যবাহী গরিয়া নৃত্যসহ বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠীর ঐতিহ্যবাহী নৃত্য পরিবেশিত হয়। এছাড়াও, বৈ-সা-বি উৎসব উপলক্ষে খাগড়াছড়িতে পক্ষকালব্যাপী (দুই সপ্তাহব্যাপী) বিজুর মেলা বসেছে। যেখানে পাহাড়ীদের ঐতিহ্যবাহী পোশাক, অলংকার ও খাবার পাওয়া যাচ্ছে। আয়োজকরা জানিয়েছেন, নিজেদের সংস্কৃতি ও স্বকীয়তা ধরে রাখার জন্য প্রতিবছরই এমন আয়োজন করা হয়ে থাকে।
মন্তব্য