(নিজস্ব প্রতিনিধি মোঃ সোহেল রানা)
দীর্ঘ ১৭ বছর পর আজ ২৩ জুন ২০২৫ নিজ জন্মভূমিতে পা রেখেই অগণিত মানুষের ফুলেল শুভেচ্ছা এবং ভালোবাসায় সিক্ত হলেন খুলনার তেরখাদা উপজেলার পূর্ব কাটেঙ্গা গ্রামের কৃতি সন্তান , নর্থ খুলনা কলেজ ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি ও লন্ডন প্রবাসী মোঃ আরিফ বিল্লাহ।
তিনি গত ১৭জুন ঢাকায় অবতরণ করেন। ব্যক্তিগত কাজ শেষে তিনি ২৩ শে জুন সকালে ঢাকা থেকে সড়ক পথে খুলনা হয়ে বিকেল ৩ টার দিকে তেরখাদা উপজেলায় পৌছান।
তিনি খুলনায় পৌছালে তেরখাদা থেকে দুই শতাধিক মটরবাইক, মাইক্রো , প্রাইভেটকার যোগে এলাকার মানুষ তাকে রিসিভ করেন।
মোঃ আরিফ বিল্লাহ তেরখাদা পৌছালে অগণিত মানুষের ফুলেল শুভেচ্ছায় সিক্ত হন। তাকে এক নজর দেখার জন্যে তেরখাদা সুপার মার্কেটের সামনে অসংখ্য মানুষ ভীড় জমায়।
তেরখাদায় পদার্পণ করে তিনি তাৎক্ষণিক বিভিন্ন শ্রেণি পেশার লোকদের সাথে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।
এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন , তেরখাদ উপজেলা বিএনপি নেতা মোঃ রবিউল হোসেন , খুলনা মহানগর ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি সরফরাজ হিরো , তেরখাদা উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি মোঃ লাবু ইসলাম , বিএনপি নেতা মোঃ রবিউল ইসলাম লাখু , কে এম মোস্তাক হোসেন , মোঃ লালিম সেখ , মোঃ গোলজার আলমসহ আরও অনেকে।
মোঃ আরিফ বিল্লাহ তেরখাদায় থাকাকালীন ছাত্র রাজনীতির সাথে জড়িত ছিলেন। তিনি অত্যন্ত সুনাম ও দক্ষতার সাথে তেরখাদা থানা ছাত্রদলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এবং নর্থ খুলনা কলেজ ছাত্রদলের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন।
আরিফ বিল্লাহ খুলনা জেলার তেরখাদা উপজেলার পূর্ব কাটেংগা গ্রামের ঐতিহ্যবাহী এক সম্ভ্রান্ত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতা জনাব আলী আহমেদ মোল্লা বিশিষ্ট ক্রীড়া সংগঠক , কৃতি ফুটবলার এবং বিশিষ্ট সমাজসেবক।
দাদা মরহুম হাজী আব্দুল মজিদ মোল্লা এবং বড় দাদা মরহুম হাজী বেদন মোল্লা।
তাঁর পিতা এবং দাদার সুনাম সুখ্যাতি এবং ঐতিহ্য ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে গোটা এলাকা জুড়ে। তাঁর দাদারা তেরখাদা উপজেলা সদরের বিভিন্ন স্থানে স্কুল কলেজ মসজিদ মাদ্রাসা এবং বাজার প্রতিষ্ঠা করে আজও স্মরণীয় বরণীয় হয়ে আছেন।
এদিকে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে সাবেক ছাত্রনেতা এবং লন্ডন প্রবাসী মোঃ আরিফ বিল্লাহ বলেন , তিনি অবহেলিত , নির্যাতিত , নিপীড়িত মানুষের পাশে থেকে নিরলস সেবা দিয়ে যাচ্ছেন।
তিনি বলেন , বাকি জীবন অসহায় মানুষের পাশে থেকে সেবা দিয়ে যাবো। তিনি জনসেবায় নিজেকে উৎসর্গ করবেন বলে প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন।
মন্তব্য