রিপোর্টার ,, শম্পা দাস ও সমরেশ রায়,, কলকাতা
আলিপুর চিড়িয়াখানায় চলছে, জু ফেস্টিভ্যাল ২০২৩। একুশে সেপ্টেম্বর থেকে ২৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত এই ফেস্টিভ্যাল চলবে।
এই ফেস্টিভ্যালে প্রায় আড়াই শো স্কুলের , প্রায় আড়াইহাজার ছাত্র ছাত্রী বিভিন্ন অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেছেন, বিভিন্ন জেলা স্কুল থেকে, এবং জু কর্তৃপক্ষ তাদের সুযোগ দেয়ার চেষ্টা করেছেন বিভিন্ন অনুষ্ঠানে,
প্রতিবছরের ন্যায় এ বছরও জু এর কর্মকর্তারা এই অনুষ্ঠানকে সুন্দরময় করে তোলার জন্য সহযোগিতার হাত বাড়িয়েছেন, কারণ সামনের বছর এই চিড়িয়াখানার ১৫০ তম বর্ষ পূর্ণ হবে, তাই সকলকে চিড়িয়াখানার পশুপাখি থেকে শুরু করে গাছপালা সহ সচেতনতার বার্তা দিতে চেয়েছেন,
তাই ছাত্র-ছাত্রীদের বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছেন ,
এই কদিন যে সকল ছাত্র-ছাত্রী, বিভিন্ন অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেছেন, তার মধ্যে রয়েছে পেন্টিং কম্পিটিশন ,স্পট পোস্টার মেকিং কম্পিটিশন, কুইজ কম্পিটিশন, যেমন খুশি সাজো কম্পিটিশন, ফটোগ্রাফী কম্পিটিশন, স্লোগান রাইটিং কম্পিটিশন সহ অন্যান্য বিষয়।
এবং এই সকল কম্পিটিশন গুলি ছিল চিড়িয়াখানা ভিত্তিক,
জীবজন্তুদের জীবনধারণ বিলুপ্তি হওয়ার কারণ এবং সিনিয়র চিড়িয়াখানার সৌন্দর্যকে রক্ষা করা সব নিয়েই এই ফেস্টিভ্যাল,
এই সম্বন্ধে বলতে গিয়ে জু লজিক্যাল গার্ডেনের ডিরেক্টর তাপস দাস মহাশয় বলেন, এই জু ফেস্টিভ্যালের কারন,, ছেলে মেয়েদের মনে সচেতনতা বাড়ানো, যেভাবে পশুপাখি বিলুপ্ত হয়ে যাচ্ছে ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে, এমনকি আস্তে আস্তে সৌন্দর্যায়ন নষ্ট হয়ে পড়ছে। তাই বিভিন্ন অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে আমরা চেষ্টা করছি এই সকল ছাত্র-ছাত্রীদের মনে সচেতনতা বাড়াতে, এই চিড়িয়াখানা সামনের বছর ১৫০ তম বর্ষে পদার্পণ করবে, আমরা চেষ্টা করব, ১৫০ তম বর্ষে নতুন কিছু উপহার দেওয়ার, এবং মানুষের মনে ও ছাত্রছাত্রীদের মনে আরো সচেতনতা বাড়ানোর,। আমি গর্বিত যে বিভিন্ন জেলা থেকে এত স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীরা অংশগ্রহণ করেছেন এবং তারা তাদের পারফরম্যান্স তুলে ধরছেন, ধন্যবাদ জানাবো স্কুলের শিক্ষক শিক্ষিকাদের ,যারা এই সকল ছাত্র-ছাত্রীদের এইভাবে সঙ্গে এনে উৎসাহিত করছেন। ধন্যবাদ জানাবো অভিভাবক দের, আর ছাত্র ছাত্রীদের এইটুকুই বলবো তোমরাও আরো সচেতনতা বাড়িয়ে তোলো বিভিন্ন ভাবে বিভিন্ন অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে।
মন্তব্য