স্টাফ রিপোটার ঃমো রকি হোসেন
নওগাঁ জেলার ধামইরহাট উপজেলার খেলনা ইউনিয়নের মোঃ মাসুদ রানা (২২) পিতা মৃত্যু.বাবুল হোসেনর ছেলেকে আতঙ্কিতভাবে পিটিয়ে গুরুতর জখম করেছে শহিদুল ইসলাম ।ঘটনায় গুরুতর আহত হয়ে মাসুদ রানা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি রয়েছে।
বিবাদী মোঃ শহিদুল ইসলাম (খয়্যা) একই গ্রামের মৃত: জফির উদ্দিনের ছেলে।
ঘটনা সূত্র দাদীর মুখে জানা যায়, শহিদুল ইসলাম তার পুকুরে মাছ ধরার জন্য জেলে মাসুদ রানাকে ডেকে নিয়ে যায়।পুকুরে মাছ ধরার জন্য জালের ঘাই টানার( চাপানোর) বিষয়াদি নিয়ে কথা কাটাকাটি হলে জেলে মাসুদ রানাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে শহিদুল ইসলাম এবং কিলঘুশি মারতে থাকে, সেই সময়ে শহিদুল ইসলামের ছেলে এসে মাসুদ রানা কে লাঠিসোটা দিয়ে আঘাত করা ফলে মাথায় চোট পেয়ে মাথা ফেটে গুরুতর জখম হয়, তার সহযোগীরা ও স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে, মাসুদ রানার অবস্থা অবনতি হলে তাৎক্ষণিক উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।
উক্ত বিষয়ে মাসুদ রানার সঙ্গে কথা হলে তিনি জানান, পুকুরে মাছ মারার সময় জালের ঘাই টানার কথা নিয়ে কথা কাটাকাটি হলে আমার উপর রাগান্বিত হয়ে কিলঘুশি মারতে থাকে, এই ঘটনা দেখে তার ছেলে এসে লাঠি দিয়ে আমাকে আঘাত করতে থাকে লাঠি-আঘাতে আমার মাথা ফেটে যায় এই দেখে আমার সহযোগিরা আমাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করায়।
এবিষয়ে বিবাদী শহিদুল ইসলামের সঙ্গে মুঠো ফোনে কথা হলে তিনি বলেন, তেমন কোন মারামারি নয়, সামান্য একটা ব্যাপার।কথা কাটাকাটির ফলে এক দুইটি চড় থাপ্পড় মেরেছি এবং আমার ছেলের সঙ্গে ধস্তাধস্তি হয়েছে একপর্যায়ে মাসুদের মাথা ফেটে গেছে কিনা আমি জানিনা।
এ বিষয়ে ধামইরহাট থানা অফিসার ইনচার্জ মো. মোজাম্মেল হক কাজীর সঙ্গে মুঠোফোনে কথা হলে তিনি জানান, ঘটনা শুনে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়ে খোঁজখবর নেওয়া হয়েছে, এই ঘটনার কোন অভিযোগ পাওয়া যায়নি, অভিযোগ পেলে সঠিক তদন্ত সাপেক্ষে দোষীদের আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
মন্তব্য