সাখাওয়াত হোসেন,পাঁচবিবি প্রতিনিধিঃ
জয়পুরহাটের পাঁচবিবি উপজেলার ভাল্লুকগাড়ি গ্রামে রাস্তার জন্য অন্যের জায়গা জবরদখল।রাস্তাকে কেন্দ্র করে মামলা হামলায় অতিষ্ঠ আতোয়ার রহমান সহ ৪ ভাইয়ের পরিবার। আদালতে থানায় গ্রামে ও ইউনিয়ন পরিষদে একাধিকবার লিখিত অভিযোগ ও বৈঠক করেও কোন সূরা পাচ্ছেনা তারা। অবশেষে বিচার না পেলে বাড়ি ঘর ছেড়ে দেশান্তর হওয়ার আক্ষেপ প্রকাশ করেছেন ভুক্তভোগী পরিবার।
অভিযোগে জানা যায়, আতোয়ারের বাড়ির সামনের রাস্তাটি নিয়ে একই এলাকার আফজাল আতাউল ও মনিরুজ্জামান বাবুর সঙ্গে বিরোধ চলে আসছ। এরই জেরে তারা দলবদ্ধ হয়ে আতোয়ারের মাটির দেওয়াল ও বাড়ির সামনে বসার ইটের স্থানটি ভেংগে ফেলে। ভাঙ্গার কারণ জানতে গেলে তারা আমাদের হত্যা করারও হুমকি দেয় অভিযোগ আতোয়ারের। ঘটনাটি ঘটেছিল চলতি বছরের এপ্রিল মাসের ৩ তারিখে । আফজালরা আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়ে অনেক টাকা ক্ষতি করেছে বলেও অভিযোগ করেন।
উপজেলার আটাপুর ইউনিয়নের ভাল্লুকগাড়ি গ্রামের মৃত আফতাবের পুত্র ভুক্তভোগী আতোয়ার রহমান আরো জানান,তাদের সম্পত্তি বলতে কিছুই নেই। আছে শুধু বাড়ির ভিটেমাটি। এই সামান্য ভিটেমাটির উপরেই তারা বসবাস করে আসছে দীর্ঘকাল ধরে কিন্তু প্রতিপক্ষ আফজালরা রাস্তা বের করতে উঠে পড়ে লেগেছে। যদিও রাস্তাটি কোন নকশাই নেই। দীর্ঘ ৪-৫ বছর ধরে এ রাস্তাটি বের করতে বহুবার হামলা মামলা করেছে। জেল খাটিয়েছে ছোট ভাই নাইদুলকে। সম্প্রতি প্রতিপক্ষরা আতোয়ারের বাড়ির গেটের সামনে সীমানা প্রাচীর ভেঙ্গে ফেলার সময় হামলা করে মাথা ফাটিয়ে দেয় অতোয়ারকে। এ বিষয়ে তিনি থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেন।
এই অভিযোগের প্রেক্ষিতে থানায় দুই পক্ষের মধ্যে একটি মীমাংসা বৈঠক বসে। এই বৈঠকে আতোয়ার ৩ ফিট জায়গা রাস্তার জন্য ছেড়ে দিতে সম্মত হয়। গ্রামবাসীরাও তা মেনে নেয়। পরবর্তীতে গত সোমবার স্থানীয় ইউপি সদস্যের উপস্থিতিতে রাস্তার জায়গা মাপ যোগ করা হয় এবং ৭ ফিট প্রশস্ত রাস্তা বের করে খুঁটিপুতে দখল করা হয়। এতে করে আতোয়ারের বাড়ির সীমানা প্রাচীর ও দরোজা পর্যন্ত ভেঙ্গে যাচ্ছে বলে তিনি আপত্তি জানান।
অপর ভাই মতিয়ার রহমান বললেন, রাস্তার জায়গা বের করা নিয়ে আমার বড় ভাইয়ের সঙ্গে গন্ডগোল হচ্ছে হোক কিন্তু আমার টিনের চালাঘর ভাঙলো কেন ? এত অত্যাচার আমরা আর সইতে পারছি না। এ গ্রামেই আর আমারা থাকবো না।
গত সোমবার সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বাঁশ খুঁটি ও টিনের ঘর করছে প্রতিপক্ষ আফজালরা। তাদের দাবি ২০ বছর ধরে আতোয়ার আমাদের ২’শতক জমি ভোগদখল করে রেখেছিল এখন আমরা ঘর করছি। আফজাল আরো বলেন, তারা আমিন দিয়ে মাপযোগ করুক,তাদের জমি কম হলে আমরা জমি ছেড়ে দিব।
এ ব্যাপারে ইউপি সদস্য একরামুল হোসেন বলেন, এই রাস্তার জায়গা কে কেন্দ্র করে দীর্ঘ ৪-৫ বছর ধরে দুপক্ষের গন্ডগোলে আমরা অতিষ্ঠ। গ্রামের শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখার স্বার্থে থানা পুলিশের নির্দেশে সরকারি আমিন দিয়ে সীমানা নির্ধারণ করা হয়েছে।
মন্তব্য