এ কে খান :
চলতি বছরের ১৯ জুন বগুড়ার শাজাহানপুর উপজেলার দুরুলিয়া গ্রামে গ্রাম উন্নয়ন কর্ম (গাক) এর উদ্যোগে এবং পল্লী কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশন (পিকেএসএফ)-এর সহযোগিতায় এক অমৌসুমী তরমুজ চাষ বিষয়ক মাঠ দিবস অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই ব্যতিক্রমী আয়োজনে শতাধিক স্থানীয় কৃষক অংশ গ্রহণ করেন। অমৌসুমী তরমুজ চাষে কৃষকদের আগ্রহ সৃষ্টিতে গাকের মাঠ দিবসে দেশের শীর্ষস্থানীয় বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা গ্রাম উন্নয়ন কর্ম (গাক), পল্লী কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশন (পিকেএসএফ)-এর আর্থিক ও কারিগরি সহায়তায় কৃষি ইউনিটভুক্ত প্রকল্পের আওতায় অমৌসুমী তরমুজ চাষের ফলাফল নিয়ে এক সফল মাঠ দিবস আয়োজন করেছে। গত ১৯ জুন, বগুড়ার শাজাহানপুর উপজেলার দুবলাগাড়ী ইউনিয়নের দুরুলিয়া গ্রামে এই মাঠ দিবস অনুষ্ঠিত হয়, যেখানে এলাকার শতাধিক কৃষক স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করেন।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শাজাহানপুর উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার মোঃ মোসাদ্দেক হোসেন। তিনি অমৌসুমী ফসল উৎপাদনে কৃষকদের করণীয় ও পালনীয় বিভিন্ন দিক নির্দেশনা মূলক গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্য প্রদান করেন। গাক’র সহকারী পরিচালক জিয়া উদ্দিন সরদার তার বক্তব্যে কৃষকদের কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধি, কৃষি উপকরণের সঠিক ব্যবহার, মৌসুমি ফসল উৎপাদন বাড়ানো এবং এর পরিচর্যা সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করেন। তিনি কৃষকদের অমৌসুমী জাতের ফসল চাষে আগ্রহী হওয়ার পরামর্শ দেন। এছাড়াও, বিভিন্ন প্রাইভেট কোম্পানির প্রতিনিধি এবং প্রকল্পের কর্মকর্তারা তাদের মূল্যবান মতামত তুলে ধরেন।
মাঠ দিবসে অমৌসুমী ফল চাষের গুরুত্ব, আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার, জৈব বালাইনাশকের প্রয়োগ, সঠিক পরিচর্যা এবং বাজারজাতকরণের কৌশল নিয়ে বিশদ আলোচনা করা হয়। এই আয়োজনে তরমুজ, কুমড়া, বেগুন, বরবটি এবং অন্যান্য সবজির আকর্ষণীয় প্রদর্শনী কৃষকদের মাঝে ব্যাপক উৎসাহ ও উদ্দীপনা তৈরি করে।
দুরুলিয়া গ্রামের কৃষক মোঃ খোরশেদ ইসলাম তার ২০ শতক জমিতে অমৌসুমী তরমুজ চাষ করে অসাধারণ সাফল্য পেয়েছেন। এই প্রকল্পের আওতায় তাকে আর্থিক অনুদান ও কারিগরি সহায়তা প্রদান করা হয়েছিল। মাত্র তিন মাসের মধ্যে ফসল উত্তোলন করে তিনি প্রায় এক লক্ষ টাকার তরমুজ বিক্রি করতে সক্ষম হন, যা এলাকার অন্য কৃষকদের মাঝে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে।
এই মাঠ দিবসে এলাকার কৃষক, গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ, বিভিন্ন স্তরের মানুষ, সুবিধাভোগী কৃষক এবং গণমাধ্যম কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন, যা অনুষ্ঠানের গুরুত্ব ও সফলতাকে আরও বাড়িয়ে তুলেছে। গাক’র এই উদ্যোগ অমৌসুমী ফসল চাষে কৃষকদের নতুন দিগন্ত উন্মোচন করবে বলে আশা করা হচ্ছে।
মন্তব্য