বিরামপুর (দিনাজপুর) প্রতিনিধি- সারাদেশের ন্যায় দিনাজপুর জেলার বিরামপুরেও ভয়াল ২৫ মার্চ গণহত্যা দিবস পালিত হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৫ মার্চ) বিকেল চারটায় উপজেলা সম্মেলন কক্ষে উপজেলা প্রশাসন এর আয়োজনে ২৫ মার্চ গণহত্যা দিবস উপলক্ষে স্মৃতিচারণ, দোয়া মাহফিল ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার নুজহাত তাসনীম আওনের সভাপতিত্বে উপজেলা একাডেমিক সুপারভাইজার আব্দুস সালামের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠান শুরুতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা এনামুল হক চৌধুরী।
এ সময় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ কমল কৃষ্ণ রায়, উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা সালমা ইয়াসমিন সুরভী, উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা আব্দুল আউয়াল, উপজেলা বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ এর সহকারী প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম, ইসলামিক ফাউন্ডেশন এর ফিল্ড সুপারভাইজার আরিফুল ইসলাম, বিরামপুর প্রেসক্লাবের আহ্বায়ক শাহ আলম মন্ডল, সিনিয়র সাংবাদিক হাফিজ উদ্দিন সরকার প্রমুখ।
এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন বিরামপুর পৌরসভার নির্বাহী কর্মকর্তা ভারপ্রাপ্ত কামাল হোসেন, বৈষম্য ছাত্র আন্দোলনের প্রতিনিধি তন্ময় , বাদশা মোঃ নাজ্জাশী, সাহয়েবীন আলম সহ অন্যান্য কর্মকর্তা – কর্মচারী এবং শিক্ষার্থীরা।
এর আগে সকালে ২৬ শে মার্চ উপলক্ষে শিক্ষার্থীদের চিত্রাংঙ্কন প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজকের অনুষ্ঠানের সভাপতির বক্তব্যে উপজেলা নির্বাহী অফিসার নুজহাত তাসনীম আওন বলেন,আজ ভয়াল ২৫ মার্চ, জাতীয় গণহত্যা দিবস। বাঙালি জাতির জীবনে ১৯৭১ সালের এইদিন শেষে এক বিভীষিকাময় ভয়াল কালরাত নেমে এসেছিল।
ওইদিন মধ্যরাতে বর্বর পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী তাদের পূর্ব পরিকল্পিত ‘অপারেশন সার্চ লাইট’র নীলনকশা অনুযায়ী বাঙালি জাতির কণ্ঠ চিরতরে স্তব্ধ করে দেওয়ার ঘৃণ্য লক্ষ্যে রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশে নিরস্ত্র বাঙালিদের ওপর অত্যাধুনিক অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ে।
বাঙালির স্বাধীনতার আকাঙ্ক্ষা মুছে দেওয়ার চেষ্টায় ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ গণহত্যা শুরু করেছিল পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী। তারপর নয় মাসের সশস্ত্র যুদ্ধের মধ্য দিয়ে এসেছিল বাংলাদেশের স্বাধীনতা। ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ দিবাগত রাতে ব্যাপক গণহত্যা চালিয়ে বাঙালি জাতিকে নিশ্চিহ্ন করার জন্য পাকিস্তানের সামরিক বাহিনী যে সশস্ত্র অভিযান পরিচালনা করে, তারই নাম দেওয়া হয়েছিল ‘অপারেশন সার্চলাইট’।
মন্তব্য