দিনাজপুর হাকিমপুর প্রতিনিধি
মোঃওয়াজ কিরনী
রোদের তীব্রতা না থাকলেও গত ৩ দিনের ভ্যাপসা গরম পড়ছে। সঙ্গে পাল্লা দিচ্ছে পল্লী বিদ্যুতের লোডশেডিং। একদিকে গরম, অন্যদিকে লোডশের্ডিংয়ে কারণে দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে দিনাজপুরের হিলি জনজীবন।
স্থানীয়রা বলছেন, ইরি-বোরো মৌসুমে লোডশেডিং তেমন ছিল না। কিন্তু এখন দিন-রাতে ৮ থেকে ১০ যাওয়া-আসা করছে বিদ্যুৎ। এতে ইলেকট্রিক সামগ্রী নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা করছেন তারা। আর পল্লী বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষ বলছে, চাহিদার চেয়ে কম বিদ্যুৎ পাওয়ায় বেড়েছে লোডশেডিং চলছে।
পল্লী বিদ্যুতের গ্রাহক আব্দুর রহিম বলেন, ‘গতকাল মঙ্গলবার (২৫ জুন) সারারাত ভ্যাপসা গরমের কারণে ঘুমাতে পারিনি। একদিকে ভ্যাপসা গরম, অন্যদিকে বিদ্যুতের ভেলিকিবাজিতে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে স্থানীয় মানুষেরা। একবার বিদ্যুৎ চলে গেলে কখনো ফিরছে ১ ঘণ্টা পর, কখনো ফিরছে ২ ঘণ্টা পর।’
আরেক গ্রাহক মো. মোয়াজ্জেম হোসেন বলেন, ‘গেলো ইরি-বোরো মৌসুমেও এত লোডশেডিং ছিল না। কিন্তু এখন বেড়েছে লোডশেডিং। একবার বিদ্যুৎ গেলে কখন আসবে কর্তৃপক্ষও বলতে পারছে না। আজ বুধবার (২৬ জুন) দুপুর থেকে ২ ঘণ্টা বিদ্যুৎ ছিল না। যদিও ২ ঘণ্টা পর আসে । আবার ১ ঘণ্টা পর চলে যায়। এভাবে বিকেল থেকে সারারাত ৮ থেকে ১০ বার বিদ্যুৎ যাওয়া-আসা করেছে।’
মোয়াজ্জেম হোসেন আরও বলেন, ‘এতে গরমে যেমন মানুষ কষ্ট পাচ্ছে, তেমনি ইলেকট্রিক সামগ্রী, ফ্রিজ, টিভি, ভ্যান নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।’
দিনাজপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২-এর হিলি সাব জোনাল অফিসের এজিএম বিশ্বজিৎ সরকার বলেন, ‘হিলিতে প্রতিদিন বিদ্যুতের চাহিদা ৭ মেগাওয়াট। কিন্তু মিলছে ৩ মেগাওয়াট। তাই লোডশেডিং বেড়েছে। আমাদের একটি ফিডার বন্ধ রেখে অন্য ফিডার চালাতে হচ্ছে। চাহিদা মতো বিদ্যুৎ পাওয়া গেলে আর লোডশেডিং থাকবে না।’
মন্তব্য