(নিজস্ব প্রতিনিধি মোঃ সোহেল রানা)
খুলনার রূপসা উপজেলার ৫নং ঘাটভোগ ইউনিয়নের পিঠাভোগ গ্রামে অবস্থিত আ’ লীগ নেতা মোঃ রনি সরদারের ইটের ভাটায় গত (২২ জুন) ২০২৫ ইং মধ্যরাতে সংরক্ষিত পার্কের মধ্যে তৈরিকৃত প্যান্ডেলে বক্স বাজিয়ে মাদক সেবন ও অশ্লীল নৃত করার অপরাধে ৫ নারী সহ মোট ১৬ জনকে গ্রেফতার করে রূপসা থানা পুলিশ। স্থানীয় সূত্রে জানা যায় সাবেক এমপি আব্দুল সালাম মুর্শিদীর ঘনিষ্ঠ আপনজন ও ২ নং শ্রীফলতলা আওয়ামী লীগের মনোনীত চেয়ারম্যান থানা আওয়ামীলীগ নেতা মোঃ ইছাক আলী সরদারের ছেলে উক্ত ইট ভাটার মালিক রনি সরদার।
এ ঘটনায় ঐ দিন দুপুরে থানায় কর্মরত এস আই সৌরভ দাশ বিপি-৯৬২৩২৪৬৭০৬ বাদী হয়ে ১৪ জনকে আসামি করে তাদের বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য আইনে মামলা রুজু করে জেল হাজতে প্রেরণ করলে ও আসামিরা পরদিন অর্থাৎ ২৩ জুন সবাই জামিনে মুক্তি পায়। এ ঘটনায় আটক করা অবশিষ্ট পিঠাভোগ গ্রামের মোঃ হাসান শেখের ছেলে মোঃ হৃদয় শেখ ও মোহাম্মদ পাইক শেখের ছেলে মোঃ তৌহিদ শেখ কে ছেড়ে দেয়া এবং জামিন যোগ্য অপরাধ দেখিয়ে আসামিদের জেলহাজতে প্রেরণ করার পেছনে ওসি স্থানীয় বিএনপি নেতা স,ম, হাসিবুর রহমান,জাতীয় পার্টির নেতা কথিত সাংবাদিক বিএম শহিদুল এবং বিএনপি নেতা খাইরুল আলম খোকন কে ডাবার গুটি হিসেবে ব্যবহার করেছে। স্থানীয় রাজনৈতিক নেতা-কর্মীসহ সচেতন মহলের কেউ কেউ আবার ওসিকে ঘুষখোর হিসেবে মন্তব্য করছেন। কারণ খুলনা জিরোপয়েন্ট এলাকায় ঝটিকা মিছিলে অংশগ্রহণ করা আওয়ামী যুবলীগের একাধিক নেতাকর্মীদের গ্রেফতার না করে তাদের কাছ থেকে ফায়দা লুটে চলছে ওসি। তাছাড়া তার বিরুদ্ধে সর্বস্তরের ধারণা মামলার স্বাক্ষীদের মাধ্যমে মোটা অংকের অর্থ হাতিয়ে নিয়েছে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মোহাম্মদ মাহফুজুর রহমান বিপি-৮৫১১১৩৬৬১০ এর বিরুদ্ধে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, গত ২২জুন ২০২৫ ইং তারিখ গভীর রাতে উপজেলার পিঠাভোগ গ্রামের রনি ব্রিকস এর অভ্যন্তরে ১১জন যুবক সহ ৫ জন নারী মাদক সেবন করে অশ্লীল নৃত্য করছিল। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রূপসা থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে মাদক সেবনের সরঞ্জাম সহ ১৬ জনকে আটক করে নিয়ে যায়। সেখানে পাওয়া ৪টি মোটরসাইকেল, ১টি সাউন্ড সিস্টেম, ৪টি সাউন্ড বক্স, ১টি মহিন্দ্রা গাড়ি,১ ডেক রান্না করা চিকেন বিরানি, ১টি ইঞ্জিন চালিত ভ্যান এবং বিভিন্ন মাদক সেবনের আলামত ও ইনটেক মাদক উদ্ধার করতে সক্ষম হয়। কিন্তু অভিযান পরিচালনার সময় অজ্ঞাত ২০-২৫ জন দৌড়ে পালিয়ে যায়। অভিযোগ ওঠে উক্ত রনি ব্রিকস এর মধ্যে প্রায়ই যুবকেরা বিভিন্ন অঞ্চল থেকে টাকার বিনিময়ে যুবতীদের নিয়ে এসকল অপকর্মে লিপ্ত থাকে। ব্রিক্সের মালিক ও স্থানীয় বিএনপি সহ কিছু অসাধু সাংবাদিকদের সাথে সুসম্পর্ক থাকায় এখানে পুলিশ তেমন আসে না। এমন অভিযোগের ব্যাপারে ইট ভাটার মালিক রনি সরদারের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে মোবাইল ফোন বন্ধ থাকায় তার বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।
এ ব্যাপারে রূপসা থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ মাহফুজুর রহমান জানান, আসামিদেরকে পুলিশ মাদক সেবনের সময় হাতেনাতে আটক করেছে। এ কারণে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ধারায় মাদকদ্রব্য আইন ও নারী পাচার মামলা হয়েছে। অর্থের বিনিময়ে মামলায় জামিন যোগ্য অপরাধ দেখানোর পাশাপাশি দুইজনকে ছেড়ে দেওয়ার বিষয়ে জানতে ওসির কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন,,,,
অভিযুক্ত ওসির কার্যক্রম সম্পর্কে অনুসন্ধান অব্যাহত রয়েছে। কারো কোন অভিযোগ থাকলে তথ্য দিয়ে সহায়তা করার জন্য বলা হলো। তথ্যদাতার নাম পরিচয় শতভাগ গোপন রাখা হবে। পরবর্তী নিউজে চোখ রাখুন…
মন্তব্য