সোহেল খন্দকার (ঝালকাঠি)প্রতিনিধি:ঝালকাঠি পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির ভূতুড়ে বিলে দিশেহারা হয়ে পড়েছে হাজার হাজার গ্রাহক। মার্চের তুলনায় এপ্রিল মাসে বিদ্যুৎ বিল দুই থেকে তিন গুণ বেশি এসেছে অভিযোগ করে রাজাপুর উপজেলর সাতুরিয়া ইউনিয়নের নৈকাঠীবাজার এলাকায় পল্লী বিদ্যুতের গ্রাহক বৃন্দর আয়োজনে সোমবার সকাল ১০ টায় পল্লী বিদ্যুৎ এর দুর্নীতির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ সভা ও মানববন্ধন করেছে গ্রাহকরা।
গ্রাহকের অভিযোগ করে বলেন কোনো মাসে পূর্বের মাসের দ্বিগুন আবার কোনো মাসে তার অর্ধেক বিল ধার্য করা হয়। মাসিক সংগৃহীত ইউনিটের অতিরিক্ত মিটার রিডিং দেখিয়ে অবৈধভাবে অর্থ আত্মসাৎ করে যাহার মিটার রিডিং পরবর্তী মাসের ১৫ থেকে ২০ দিনের মধ্যেও সমন্বয় হয় না, প্রতি ৩-৪ মাস পরপর বিগত দিন থেকে দুর্নীতি করে সাধারণ গ্রাহকের কাছ থেকে অতিরিক্ত অর্থ আদায় করে নেয় কিন্তু এর অভিযোগ নিয়ে অফিসে গেলেও লাঞ্ছিত হয়ে অফিস থেকে ফিরে আসতে হয় গ্রাহকদের।বিদ্যুতের খুটি সহ যে কোন সেবা অর্থ লেনদেন ছাড়া গ্রাহক সেবা পায় না,প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত মিটার সহ আনুষাঙ্গিক সমস্ত খরচ প্রাকৃত গ্রাহকের কাছ থেকে আদায় করা হয় এ সকল বিষয়ে অভিযোগ করে কোনো সুরাহা না পেয়ে বিদ্যুৎ গ্রাহকরা পল্লী বিদ্যুতের দুর্নীতির বিরুদ্ধে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেন।
মানববন্ধনে অংশ নেওয়া সাতুরিয়া ইউনিয়নের জামায়াত এর আমির মাওলানা মোস্তাফিজুর রহমান বলেন পল্লী বিদ্যুতের কর্মকর্তাদের কাছে অনুরোধ গ্রাহকরা যতটুকু ইউনিট ব্যবহার করবে ততটুকু বিল নিতে হবে এর বেশি বিল নিলে আমরা আন্দোলন চালিয়ে যাব।
সাতুরিয়া ইউনিয়নের দেলোয়ার হোসেনের অভিযোগ করে বলেন মিটারে বিল ৬৮০ টাকা আসলেও দেখা যাচ্ছে ডিমান্ড চার্জ আসছে ১৯২০ এবং গত মাসের তুলনায় এ মাসে দ্বিগুণ বিল উঠছে আমরা চাই এ ধরনের দুর্নীতি বিদ্যুতে যেন না হয় এটাই দাবি।
মন্তব্য