সোহেল খন্দকার(ঝালকাঠি) প্রতিনিধি : ঝালকাঠির রাজাপুরে জমি বিক্রয়ের কথা বলে বায়না নিয়ে প্রতারণার অভিযোগ উঠেছে জাকির হোসেন ও শিরিন বেগমের নামের দুই জনের বিরুদ্ধে। অপরদিকে বায়না সূত্রে দখলকৃত সম্পত্তিতে থাকা ঘর ভাংচুর ও হামলার অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় নাদিম সহ,নাদিমের স্ত্রী,সোহেল, সোহেলের স্ত্রী কেয়া,নাদিমের বোন নাসিমা ও নাদিমের মামা’র বিরুদ্ধে। এমন অভিযোগ করে ১২’ই জুন সকালে রাজাপুর প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেছেন মাহমুদ মোস্তফা নামের এক অবসরপ্রাপ্ত সেনা সদস্য। তিনি পশ্চিম রাজাপুর এলাকার মৃত ইসকেন্দার আলি মুন্সির ছেলে। এ সময় তিনি অভিযোগ করে বলেন,২০২৩ সালের মার্চ মাসের ১৭ তারিখ স্থানীয় মোঃ জাকির হোসেনের সাথে আলোচনা করে একই এলাকার মোঃ শহিদুল ইসলাম (অবসরপ্রাপ্ত সেনা সদস্য) ও আব্দুল হাকিম এর মধ্যস্থতায় জাকির হোসেনের স্ত্রী’র নামে থাকা তিন শতাংশ জমি(দাগ নং- ১০৪০) প্রতি শতাংশ ৪০ হাজার টাকা দরে তিন শতাংশ মোট ১ লক্ষ ২০ হাজার ক্রয়ের সিদ্ধান্ত নেই এবং জমি ক্রয়ের জন্য বায়না বাবদ ২০ হাজার টাকা জাকির হোসেনের স্ত্রী শিরিন আক্তারের হাতে তুলে দেন আব্দুল হাকিম। তখন জাকির হোসেন ও তার স্ত্রী শিরিন আক্তার মোঃ শহিদুল ইসলাম ও আব্দুল হাকিম এর সামনে প্রতিশ্রুতি দেয় যে এই জমির মুল্য ৫ লক্ষ টাকা হলেও আমাকে ছাড়া অন্যত্র বিক্রয় করিবো না। পরবর্তীতে আমি ঐ জমিতে গাছপালা রোপন করে একটি গোয়াল ঘর তুলি। ২০২৫ সালের ১৩’ই রমজান জাকির হোসেন স্থানীয় মাসুম এর মাধ্যমে তারই ঘরে বসে জমির মালিক শিরিন আক্তারের হাতে দেয়া বায়নার ২০ হাজার টাকা মোঃ শহিদুল ইসলাম ও আব্দুল হাকিম এর কাছে ফেরৎ দিয়ে তারা জানায় ঐ জমি বিক্রয় করিবো না। কখনো যদি জমি বিক্রয় করা হয় তাহলে আমার কাছেই তারা বিক্রয় করিবে। সেই বৈঠকে কথার কাটাকাটির এক পর্যায়ে মাসুমের মাধ্যমে জমির দাম পুর্বের চেয়ে ৩০ হাজার টাকা বৃদ্ধি করে মোট ১ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা ধার্য করা হয়। পরে স্থানীয় মোঃ হারুন আর রশিদ,মোঃ ইউনুস আলী তালুকদারের মাধ্যমে জমির মালিক শিরিন আক্তার দেড় লাখ টাকায় ঐ জমি বিক্রি করতে সম্মতি দেয় এবং বায়নার টাকা হারুন অর রশিদের কাছে গচ্ছিত রাখে। এরপরে গত ১০ জুন বিকেল আনুমানিক ৫ টার দিকে ঐ জমি নাদিম ক্রয় করেছে এমন দাবি করে নাদিম সহ,নাদিমের স্ত্রী,সোহেল, সোহেলের স্ত্রী কেয়া,নাদিমের বোন নাসিমা ও নাদিমের মামা অর্তকিত হামলা চালিয়ে শিরিন আক্তারের কাছ থেকে বায়না সূত্রে ক্রয়কৃত সম্পত্তিতে থাকা আমার গোয়ল ঘর ভাংচুর করে এবং আমার দোকানের মালামাল লুটপাট করে। এ সময় তাদেরকে বাধা দেয় আমার স্ত্রী তাসলিমা বেগম। তখন তাকেও মারধর করে তার সাথে থাকা স্বর্ণ অলংকার নিয়ে যায় এবং শেষ রাতে আবারো আমার বসতঘর ভাংচুর করতে আসে প্রতিপক্ষরা। তখন আমার স্ত্রী টের পেয়ে চিৎকার করলে তাদের জুতা ফেলে রেখে পালিয়ে যায়।
বায়নাকৃত সম্পত্তি রেজিস্ট্রির মাধ্যমে দলিল পাওয়ার এবং তাদের হাত থেকে যাতে রক্ষা পেতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ সহ প্রসাশনের সু-দৃষ্টি কামনা করছেন
মন্তব্য