ঢাকা সকাল ৬:৪২, বৃহস্পতিবার, ১৭ জুলাই, ২০২৫, ২ শ্রাবণ, ১৪৩২
শিরোনাম:
এনসিপি সমাবেশে হামলা,ভাংচুর; পুলিশের গাড়িতে অগ্নিসংযোগ রাজশাহীর মোহনপুরে জুলাই গণঅভ্যুত্থানে আহত-শহীদদের স্মরণে স্মরণ সভা অনুষ্ঠিত মনোন্য ‎পাঁচবিবিতে সমবায় সমিতির নির্বাচনে সাইদুর সভাপতি নির্বাচিত।। পাঁচবিবিতে গাছের চারা বিতরণ করেছে” ব্র্যাক।। ‎পাঁচবিবিতে ভাল্লুকগাড়ি গ্রামে রাস্তার জন্য অন্যের সম্পত্তি জবরদখল।। ‎পাঁচবিবিতে আইন শৃঙ্খলা স্বাভাবিক রাখতে চেকপোস্ট বসিয়েছে থানা পুলিশ।। অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে মিথ্যা সংবাদ সম্মেলনের প্রতিবাদে পাল্টা সংবাদ সম্মেলন হিলিতে জুলাই শহীদ দিবস পালিত সাহসী সাংবাদিক মাহিদুল হাসান সরকার জাতীয় দৈনিক মাতৃজগতের সম্পাদকমণ্ডলীর সভাপতি ও বাংলাদেশ ক্রাইম সংবাদ পত্রিকার নির্বাহী সম্পাদক মনোনীত। আমাদের সিমি বুনু “তাকিয়ে ছিলাম” তৃতীয় বারের নির্বাচিত সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান সহিদুজ্জামান শাহ কেশবপুর পৌরসভার উদ্যোগে হরিহর নদের কচুরিপানা অপসারণের কাজ চলছে। সৎ মানুষ হয়েও কি অপরাধে দোষী হলাম আজ রাজশাহীর মোহনপুরে প্রবাসীর স্ত্রীকে কুপ্রস্তাব,বাড়িতে হামলা ভাঙচুরসহ ২ লক্ষ টাকা লুটপাঠ”অতোপর”থানায় অভিযোগ পাঁচবিবিতে তারেক জিয়ার বার্তা পৌঁছে দিলেন গোলজার- রানা।। জেলা প্রশাসক গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্টে মোহনপুর বিজয়ী হওয়ায় উচ্ছ্বসিত উপজেলা প্রশাসন ‎পাঁচবিবি উপজেলা প্রশাসন ভবন উদ্বোধন।। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মহোদয়দের বিদায় সংবর্ধনা অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত। পোরশায় সাড়ে তিন শতাধীক আমগাছ উপড়ে ফেলেছে দুর্বৃত্বরা বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন কেশবপুর শাখার উদ্যোগে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সভা হিলিতে মাদক ব্যবসায়ীর বাড়িতে চোর সন্দেহে একজনকে পিটে হত্যার পাঁচবিবিতে মাদক কারবারি কর্তৃক কিশোরীকে ধর্ষন , আটক-১,ধর্ষক পলাতক।। আওয়ামীলীগকে ক্ষমা করার ঘোষনা দিয়েছে তারা মুনাফিক ও বেঈমান- বিএনপি নেতা ফয়সল আলীম।। শ্রীমঙ্গলে চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে সাধারণ ছাত্রজনতার ব্যানারে মানববন্ধন পাঁচবিবিতে ট্রাকচাপায় ভ্যানচালকের মর্মান্তিক মৃত্যু।। ফটিকছড়িতে ৫০০০ বৃক্ষরোপণের কর্মসূচির সূচনা অথেন্টিক ফাউন্ডেশনের। অনলাইন জুয়ার দেনা থেকেই হৃদয় হত্যা: বন্ধুদের বিরোধে জীবন গেল কলেজ ছাত্রের হজমি ট্যাবলেট’ খেতে হয়

সুনামগঞ্জ সাহিত্য- সংস্কৃতির আকাশকে করেছে আলোকিত।

ভিশন এস টিভি ডেস্ক আপডেটঃ শনিবার, ৮ জুন, ২০২৪, ৯:১৩ অপরাহ্ণ 57 বার পড়া হয়েছে

এমনই একটি এলাকায় জন্মগ্রহণ করে খলিল আহমদও যেন কবিতার আকাশে উড়ে বেড়াতে শুরু করলেন সাদা কবুতরের মতো। যে দিনশেষে ঘরেই ফিরে, যেমনই বারবার নিজের মাতৃভূমিতে ফিরেন কবি খলিল আহমদ। তাঁর পিতামহ মরহুম হাজী আব্দুল গফুর তালুকদার ছিলেন একজন ধার্মিক ব্যক্তিত্ব। তিনি বাংলা, উর্দু, ফারসি ও নাগরী ভাষায় দক্ষ ছিলেন। চিন্তা করা যায়, এমন একটি সময়ে যখন জ্ঞানী-গুণী মানুষের অভাব, তখন তিনি একই সাথে চারটি ভাষায় ব্যুৎপত্তি অর্জন করেছিলেন। বলা যায়, উত্তরাধিকার সূত্রেই খলিল আহমদ যেন সৃজনশীলতা নামক উপহারটি পেয়েছেন। তাঁর পিতার নাম মরহুম ইন্তাজ মিয়া (আব্দুল হাশেম) এবং মাতার নাম মরহুমা মফিজুন নেছা। তিনি ১৯৮৯ খ্রিস্টাব্দ থেকে যুক্তরাজ্যে স্থায়ীভাবে বসবাস করছেন। বাস্তবজীবন-জীবিকার তাগিদে তিনি যুক্তরাজ্যে পড়ে থাকলেও তার মন অবস্থান করে নিজের মাতৃভূমিতে। প্রতিটি সময়ে ভাবেন নিজের দেশের মানুষের কথা, প্রকৃতির কথা। তাঁর সৌন্দর্যপ্রিয় মনের অভিব্যক্তিই যেন তা বারবার প্রকাশ করে দেয়। আর সেখান থেকেই তিনি তাঁর সাহিত্য-সংস্কৃতির চর্চা করছেন নিবিষ্টমনে। এগুলোর মধ্যেই তিনি নিজের জীবনের আনন্দ খোঁজে নেন। কবিতায়, গল্পে কিংবা প্রবন্ধে তিনি দেশের প্রতি মমত্ববোধকে ফুটিয়ে তুলেন নিরুপম কারুকার্যতায়। খলিল আহমদ-এর শিক্ষাজীবন শুরু হয় ১৯৭১ খ্রিস্টাব্দে জগন্নাথপুর উপজেলার আশারকান্দি জাকির মুহাম্মদ প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে। পরে স্থানীয় নয়াবন্দর উচ্চ বিদ্যালয়ে ভর্তি হয়ে দশম শ্রেণি পর্যন্ত পড়াশোনা করেন এবং ১৯৮১ খ্রিস্টাব্দে বোয়ালজুড় উচ্চ বিদ্যালয় থেকে প্রবেশিকা পরীক্ষায় কৃতিত্বের সাথে উত্তীর্ণ হন। পরে তিনি এম.সি কলেজ থেকে ১৯৮৪ খ্রিস্টাব্দে এইচএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। অতঃপর সিলেট সরকারি কলেজ থেকে ১৯৮৬ খ্রিস্টাব্দে স্নাতক ডিগ্রি লাভ করেন। তারপর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমএসএস (আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগ)-এ অধ্যয়নকালে তিনি যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমান। শিক্ষাজীবনের প্রতিটি ধাপে তিনি মেধার স্বাক্ষর রাখেন। খলিল আহমদ কর্মজীবনে বিলেতে গিয়ে রেস্টুরেন্ট ব্যবসা বেছে নেন। বর্তমানে তিনি পরিবার-পরিজন নিয়ে যুক্তরাজ্যে স্থায়ীভাবে বসবাস করছেন। খলিল আহমদ-এর লেখালেখির সূচনা সেই স্কুলজীবন থেকে। তিনি বিভিন্ন সময়ে পত্র-পত্রিকা এবং সাময়িকীতে লেখালেখি করতেন। বর্তমানে তিনি অনলাইন গণমাধ্যমে বেশ সক্রিয়। তবে তাঁর প্রকাশিত লেখা গ্রন্থাকারে প্রকাশিত হয়নি। ‘বর্ণমালার বাংলাদেশ’ তাঁর প্রথম কাব্যগ্রন্থ। দেশমাতৃকার প্রতি অপরিসীম প্রেমের নিদর্শন এই কাব্যগ্রন্থটি। বলা চলে, তাঁর সৌন্দর্যপ্রবণ মন যেন প্রতিটি বিষয়ে প্রাণবন্ত চিত্র উপস্থাপন করেছে কবিতার উপমায়। খলিল আহমদ ‘বর্ণমালার বাংলাদেশ’ কাব্যগ্রন্থে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে লিখেছেন। তাঁর কবিতায় প্রেম, প্রকৃতি, বিরহ- বেদনা এবং স্বজাত্যবোধ প্রকাশ্যভাবে ফুটে উঠেছে। জৈবনিক ঐকান্তিকতা তাঁর কবিতাকে করেছে গতিসঞ্চারী। মনের ভেতর জমানো কথাগুলো যেন আবেগের ফল্গুধারায় জীবন্ত হয়ে উঠেছে। তাঁর কবিতায় শহীদ মিনার যেন এক জীবন্ত প্রাণ। হাজার হাজার মাইল দূরে অবস্থান করেও তিনি যেন উপলব্ধি করেন বাঙালির ঐতিহাসিক সূত্রিতাকে। এটা যেমন তার কবিতার প্রতি চরম ভালোবাসা, তেমনই ভাষাপ্রীতির অনন্য নিদর্শন। কারণ, শহীদ মিনারের সাথেই জড়িত আছে বাঙালির জাতিসত্তার আবেগময় ইতিহাস। তিনি লিখেন: ‘তোমার স্মৃতি রক্তজবা চোখের জলে তোমায় আঁকা, তোমার স্মৃতি হাসনাহেনা দিবালোকে যায় না দেখা’। (শহীদ মিনার: পৃ. ২০) খলিল আহমদ দেশকে ভালোবাসেন অসীম মমতায়। হৃদয় দিয়ে অনুভব করেন দেশের প্রেম। এ অনুভব কেবল তার হৃদয়ের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়। বরং তাঁর দেশপ্রেম সত্যিকার ও নিখাঁদ। জৈবনিক ব্যস্ততায় তাঁর সময় কাটলেও তিনি দেশের প্রতি কর্তব্যবোধকে কখনো ভুলে যান না। এজন্য তিনি বিভিন্ন সময়ে তাঁর নিজস্ব আত্মীয়স্বজন ছাড়াও এলাকার অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ান। তাঁর সৌন্দর্যময় মনের অভিব্যক্তি ঘটে তাঁর কবিতায়। তিনি লিখেন: ‘তোমাকে ঘিরে হাজার শিল্পী এঁকেছেন তারা ছবি
কবিতা লিখেছেন আকুল করা আমার দেশের কবি
এই মোর যশ, তোমায় আমি ভালোবেসে হবো নিঃশেষ’। (অপরূপ তুমি: পৃ. ৬০) একুশ আমাদের জাতীয় চেতনার উৎস। স্বাধীনতার আগমনী গান যেন একুশের মাঝেই লুকিয়ে ছিল। একুশ আমাদেরকে স্বাধিকার এবং নিজস্ব স্বকীয়তা রক্ষায় উজ্জীবিত করেছে। কবিও একুশকে উপলব্ধি করেন অনন্যতায়। মূলত কবির জীবনে একুশ যেন বিশাল এক উজ্জীবনী শক্তি। এই শক্তি দিয়েই তিনি সৃষ্টিতে মুখর হয়ে উঠেন। একুশই যেন তাঁর সৃষ্টিচৈতন্যে এনে দিয়েছে সৌন্দর্য। তাই তো একুশের ভাব-মহিমা প্রকাশেও দেখা মেলে অনন্য সৌন্দর্যতার। তিনি লিখেন:
‘একুশ এলো- ফাগুনের আম্রকাননে কৃষ্ণচূড়ার ডালে ডালে পূর্বের আকাশে লাল দিগন্তে রক্তিম আভায় রক্ত মেখে আমার ভাইয়ের রক্তে রঞ্জিত লাল গোলাকার বৃত্ত
একুশ এলো মায়ের স্বাধিকার দাবির মিছিল
বর্ণমালা’র সংগ্রাম বাংলার অস্তিত্বের ও চেতনার বিকাশ ঘটাতে- আমরা কোথায়? আমরা কারা!’ (একুশ এলো পৃ. ৫৪) খলিল আহমদ স্বদেশের সন্তান। এই মাটিতেই কেটেছে তাঁর স্মৃতিময় শৈশব, সোনালি কৈশোর আর আনন্দমুখর দিনগুলো। এই মাটির সাথেই যেন তাঁর মিতালি। যেন নাড়ির সম্পর্ক। তাই তো তিনি তাঁর সৌন্দর্যপ্রবণ মন বারবার দেশকে ভালোবাসার মুখরিত আহ্বানে জেগে ওঠে। কবিতায় মিলে এর প্রচ্ছন্ন ভাব। তিনি লিখেন:
‘এ দেশেরই ছেলে আমি এ দেশকে তাই ভালোবাসি নদীর বুকে সাঁতার কাটি বিলের জলে কখনো শাপলাকে খুঁজি আবার শাপলার মালা গাঁথি।’ (এই দেশেরই ছেলে আমি: পৃ. ৩০) খলিল আহমদ-এর কবিতা এভাবেই ধর্ম-দর্শন এবং নানা বৈষয়িক ভাবনায় জীবন্ত হয়ে উঠেছে। শুধু তাই নয়, প্রতিটি কবিতায় যেন তাঁর সৌন্দর্য ও ধ্যানী মনের প্রকাশ পাওয়া যায়। একজন জাত কবি হিসেবে তাঁর আত্মপ্রকাশ ঘটেছে ‘বর্ণমালার বাংলাদেশ’ কাব্যগ্রন্থের মাধ্যমে। গ্রন্থের প্রতিটি কবিতাই মর্মস্পর্শী। যেন কবিতাগুলো হৃদয়ের কালিতে সাজানো। এ কাব্যগ্রন্থের ৬৬টি কবিতাই তিনি মনের মাধুরি মিশিয়ে লিখেছেন। প্রতিটি কবিতায় মিলে একটি আনন্দঘন ছোঁয়া; যেন একটি প্রাণবন্ততার নির্মল আবহ। আশা করি, প্রতিটি কবিতা পাঠকের হৃদয়কে আকর্ষণ করতে সক্ষম হবে। গ্রন্থটি প্রকাশিত হয়েছে সিলেটের অন্যতম সৃজনশীল প্রকাশনা সংস্থা ‘পাণ্ডুলিপি প্রকাশন’ থেকে। অত্যন্ত ঝকঝকে ছাপা, পরিচ্ছন্ন মুদ্রণ আর শক্ত বাঁধাইয়ে যেন গ্রন্থটি অনন্য হয়ে উঠেছে। গ্রন্থের প্রচ্ছদ যেন মোহনীয় আবেশকে আরো আকর্ষণীয় করে তুলেছে। আমি লেখকের সাবির্ক কল্যাণ ও গ্রন্থের বহুল প্রচার কামনা করি। লেখক: প্রাবন্ধিক, প্রকাশক ও সংগঠক।

মন্তব্য

আপলোডকারীর তথ্য

Visionstv24

আপলোডকারীর সব সংবাদ