স্টাফ রিপোর্টার- জীবন আহমেদ
নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁওয়ে চাঞ্চল্যকর ক্লুলেস তাঁত শ্রমিক মিরাজ হত্যা মামলার প্রধান আসামীসহ দুই জনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব ১১ সদস্যরা। বুধবার রাতে উপজেলার বরগাঁও এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করে।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন তাঁত শ্রমিক প্রধান আসামী মো. লোকমান হোসেন (৪৫) ও তার সহযোগী আসামী মো. লিটন মিয়া (২৪)। এর আগে গত ১৫ মে তাঁত শ্রমিক মিরাজ নিখোঁজ হয়। পরে ১৭ মে শুক্রবার সকালে বরগাঁও এলাকায় একটি ডোবা থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়।
বৃহস্পতিবার দুপুরে র্যাব-১১ মিডিয়া অফিসার এএসপি মো. হাম্মাদ হোসেনের স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছেন।
নিহত মিরাজ ভোলা জেলার শিবপুর গ্রামের মো. মাইন উদ্দিনের ছেলে। হত্যাকান্ডের রহস্য উদঘাটনে বৃহস্পতিবার গ্রেপ্তারকৃতদের ৭ দিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে পুলিশ।
র্যাব-১১ প্রেস বিজ্ঞপ্তি থেকে জানা যায়, উপজেলা সাদিপুর ইউনিয়নের বরগাঁও এলাকার তাঁত মালিক লোকমান হোসেনের বাড়িতে বসবাস করে তাঁত শ্রমিক মিরাজ (১৬) শাড়ি বানানের কাজ করে। গত ১৫ মে বুধবার রাতের খাবার খাওয়া শেষে মিরাজ তার রুমের উদ্দেশ্যে যায়। এরপর থেকে মিরাজ নিখোঁজ হয়। নিখোঁজের বিষয়টি তাঁতের মালিক লোকমান মিরাজের পরিবারের কাউকে জানাননি। পরে ১৭ মে বুধবার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে লোকমান নিখোঁজ মিরাজের বাবাকে মোবাইল ফোনে জানান বরগাঁও এলাকায় করিমের বাড়ির পাশে ডোবার পানির মধ্যে মিরাজের লাশ পাওয়া যায়। পরে সোনারগাঁও থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করে। এঘটনায় নিহত তাঁত শ্রমিক মিরাজের বাবা মো. মাঈন উদ্দিন বাদী হয়ে সোনারগাঁও থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলাটি র্যাব ১১ গোয়েন্দা টিম তদন্ত করে তথ্যের ভিত্তিতে গত বুধবার রাতে র্যাব ১১ সদস্যরা বরগাঁও এলাকায় অভিযান চালিয়ে চাঞ্চল্যকর হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত তদন্তে প্রাপ্ত প্রধান আসামী লোকমান ও তার ছোট ভাই লিটনকে গ্রেপ্তার করে। গ্রেপ্তারকৃত লোকমান ও লিটন বরগাঁও গ্রামের আব্দুর রহমানের ছেলে। পরে বৃহস্পতিবার গ্রেপ্তারকৃতদের সোনারগাঁও থানায় হস্তান্তর করে র্যাব।
তালতলা ফাঁড়ি পুলিশের ইনচার্জ পরিদর্শক মো. সাইফুল ইসলাম সোনারগাঁও নিউজকে বলেন, র্যাব সদস্যরা গ্রেপ্তারকৃতদের থানায় হস্তান্তর করেছে। হত্যাকান্ডের রহস্য উদঘাটনে গ্রেপ্তারকৃতদের ৭ দিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
মন্তব্য