সৈয়দা রাশিদা বারী
বহু গ্রন্থের লেখক, কথা সাহিত্যক রিফাত ভৈরব বলছেন, আমান ভৈরবকে। সে বলছে, আমার লেখা সবাই হজম করতে পারে না। বুদ্ধিমান বুদ্ধিজীবী ছাড়া মাথা এলোমেলো হয়ে বিগ্রে যাবে। তাকে হজম করতে চাইলেও ‘হজমি ট্যাবলেট’ খেতে হয়। হঠাৎ ঝমঝম বৃষ্টি পরার মত, ওই যে দেখতেছি বৃষ্টি পড়ার দিনই আজ। ১২ জুলাই ২০২৫ ইং মেঘ ফুটো হওয়ার মত বৃষ্টি হচ্ছে! ওদিকে বাংলাদেশের একসময়ের রাষ্ট্রপতি, জনগণের বন্ধু ও মেজর জেনারেল জিয়াউর রহমানের কাগজে নির্মিত, মুখের উপর কতগুলো জুতা ঢপা ঢপ শব্দে বৃষ্টির মত ঝরতেছে!!! জুতাগুলো দেখে মনে হচ্ছে, ব্যক্তিরা সবাই ছোট মানুষ। বোধ করি ৭১ সালের পরে জন্ম হয়েছে। এরা আর পূর্বপুরুষ, পূর্বের মানুষের বিপদ আপদ দুঃখ দুর্দশা কষ্ট, দেশের দশের পরাধীনতার থাবা, জালা যন্ত্রণা আঘাত অপমান অপদস্ত ইত্যাদির কি বুঝবে?! আসলে শুধু নিজের ব্যক্তি স্বার্থ সুখ না দেখে, সেই তাদের কথাটাও, পূর্ব-পুরুষদের অমানবিক অত্যাচার কষ্টের জীবনটাও উপলব্ধি করা বা ভাবা প্রত্যেকের দরকার। প্রজন্মদের ভবিষ্যৎ নিরাপত্তা চাওয়ার জন্যই দরকার। নতুন প্রজন্ম যারা এদেশে জন্মাবে, তাদেরকে এই জ্ঞান বিদ্যাটা মাথায় ঢুকিয়ে দেওয়া জরুরীভাবে ছিল এবং এখনো প্রয়োজন। যে ভুল হচ্ছে ওই বিদ্যা না থাকার জন্যই তো। এই যে আমি বলছি, এটা হচ্ছে আদ্দপ শৃঙ্খলার দিকটা ভেবে ওই বিবেচনায় বলছি। এখানে আমি কোন দল বলের চিন্তা চেতনা টার্গেট করে বলছি না। কোন দল বলের চামচা দালাল হওয়ার ইন্ধনে বা কেউ সংযুক্ত থাকলে ত্যাগ করার চিন্তা চেতনায় বলছি না। রাজনীতি করিও না, ঐসব বিদ্যা জ্ঞানও আমার নাই। আমার কেউ শত্রু হলেও, ঐশত্রু মানুষেরও কষ্ট আমি দেখতে এবং সইতে পারিনা। তাহলে তো আমার কতই শত্রু, শিশু কাল থেকে আজও রয়েছে, আজীবনের হয়ে। রাজনৈতিক মানুষরাও দেশ হাতে নিয়ে যা খুশি তাই করে। আমার থেকে অজ্ঞ মূর্খোর পুরস্কার দেয়, জাতীয় পুরস্কার গুলো রাজনৈতিক ব্যক্তিরা, ব্যবসার পণ্য করে নিয়েছে। তাই যোগ্যদের চোখে দেখেনা। অযোগ্যদের দিয়ে মাথায় তুলে নাচে!! ঘাড়ে করে ঘোরে। আমার অপদস্ত করার কত শত্রু!! এ রকম শত্রু মাথার মগজ থেকে পায়ের তলা, কেনি আঙ্গুলের চারা পর্যন্ত কিলবিল কিলবিল করতেছে! আমি তাদের কই মারতেছি??? মারতেছি না তো?!? শত্রুদের জ্বালায় জীবনে কোনদিন সুখ পেলাম না?! কিন্তু আমি তবুও কারো মারলাম না!! ঘরের ভিতরে তো তাদের ছবি প্রতিচ্ছবি পায়ের তলায় নিয়ে, আমার জুতা দিয়ে জুতা পিটা করতে পারি। ওইরকম ভাবে দোলে দুমড়ে পাড়াতে পারি। চেটকোতে পারি। শেখ মুজিবের মূর্তির মাথায় মুতে দেবার মতো, আমার শত্রুদের মুখে মাথায় আমিও মুতে দিতে পারি। এসব করা তো খুব কঠিন কাজ নয়?! গড়তে সময় লাগে এবং কষ্ট! ধ্বংস করতে সময় লাগে না এবং আরাম। গানেও তো আছে ‘ও প্রেম করতে দুইদিন-ভাঙতে একদিন, তেমন! আত্মহত্যা করা যেমন সব চেয়ে বেশি সহজ কাজ তেমন। যুদ্ধ করে বেঁচে থাকাটাই কঠিন এবং বীজয়। আত্মহত্যা করা মানে কষ্টের কাছে হেরে গিয়ে স্বেচ্ছায় আত্মসমর্পণ করা। তার মানে পরাজয়। তাইতো আমি যতই রাগ হোক, ক্ষোভ থাক, কারো মুখ স্যান্ডেল পায়ে পাড়ায় না। মাথায় মুতেও দিই না। কেননা ওটাতে হবে আমার সুন্দর অর্জন ও সাফল্য গুলোকে বর্জন করা। পরাজয় হওয়া। রাগের প্রতিক্রিয়া খারাপই হয়। ধৈর্যই সবচেয়ে বড় আল্লাহকে পাওয়ার হাতিয়ার। তাছাড়া মানুষের মুখে পা দেওয়া, মাথায় মুতে দেওয়া এটা তো নিশ্চিত গুনাহের কাজ। এটা করলে তো আরও আল্লাহর প্রহরী বেহেশতের দুয়ার বন্ধ করে, দোযখের দুয়ার খুলে দেয়। দুই দিনের জীবনে নৃশংতা অরাজকতা করে কি হবে??!! আজ মরে গেলে কাল দুই দিন। তাই আমি প্রতিশোধ নিতে চাই না। যদি জীবনে আমি আমার লেখা ৪শত গ্রন্থের সবগুলো প্রকাশ করাতে পারি, মানুষের সম্মুখে উপস্থাপন করতে পারি। তাহলেই আমার পিছনের সব দুঃখ কষ্ট জাতনা বেদনা লাঞ্ছনা গঞ্জনা প্রবঞ্চনা ঘনিয়ে বা মুছে যাবে। নিশ্চিহ্নভাবে দূর হয়ে যাবে। সেটাই হবে আমার সব থেকে বড় প্রাপ্তির অনুপ্রেরণা পাওয়া ও প্রতিশোধ নেওয়া। সব যাতনা যন্ত্রণা অপবাদ অপমান অপদস্থ আমার, ওর মধ্যেই নিহত হয়ে, জীবন জনম এমনকি পরকালও হবে আলোকিত পূর্ণ ধন্য!? পরিকল্পিত কাজগুলো, পরিকল্পনা অনুসারে উদ্ধার হলে, করতে পারলে, সেটাই হবে আমার সবথেকে বড় পাওয়া। এর বেশি কিছু চাওয়ার নাই। চাইও না। লোভ লালসা নিষ্ঠুর নির্মমতার প্রয়াস, মহান আল্লাহ দয়াময় যেন আমার মধ্যে না দেন। যতই মানুষ আমার ঠকায় ঠকাক। বঞ্চিত করে করুক। যাতায় যাতাক। তারা তো ভালো থাক। আমার কষ্টের জীবনই আমার আল্লাহর দানের আশীর্বাদ। আমার নবী (সা:)’র মমতা প্রেম। আমার মতন এমনটা সবারই হোক। যা পাইছে তাই নিয়েই শান্ত থাক। তবু জুলুমবাজী নাশকতা না করুক। নির্মম না হোক। কীটপতঙ্গ পশু জানোয়ার না হোক। মানুষ থাকুক মানুষ রূপে। হে আল্লাহ দয়াময় আপনি জন্মই যখন দিয়েছেন আপনার ধরায়। তখন আপনার ধরায় সবাইকে হিংসা বিদ্বেষ মুক্ত করে তুষ্ট করুন। ভালো রাখুন। মান সম্মান সুখ সমৃদ্ধিতে পরিপূর্ণ করে, শান্তির পরশ বুলিয়ে দিয়ে, সবার ভালো রাখুন। আমিন।
১৩.৭.২০২৫ ইং, রাত ২টা, রবিবার।
মন্তব্য