কালিয়াকৈর (গাজীপুর) প্রতিনিধি
গাজীপুরের জেলার কালিয়াকৈর উপজেলার জামালপুর চৌরাস্তা এলাকায় ইজারাকৃত গরুর হাটের পাশেই নিয়ম বহির্ভুতভাবে আরেক হাট বসানোর অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। যে কোন সময় দুই পক্ষের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের আশংকা রয়েছে। এদিকে পাশাপাশি দুটি হাট বসানোর ফলে দ্বিধা দ্বন্ধে ভোগছে ত্রেুতা বিক্রেতারা। হাট দুটির সমস্যা সমাধানে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপের দাবী জানিয়েছেন এলাকাবাসী।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়,উপজেলার জামালপুর চৌরাস্তা গরুর হাটটি ১৪৩২ বাংলা সনের জন্য বৈধভাবে ইজারা পেয়েছেন ফরহাদ হোসেন। তিনি বাজারটি ইজারা প্রাপ্ত হয়ে সরকারী বিধি অনুসরন করে এক কোটি পাচ লাখ ত্রিশ হাজার টাকা সরকারী কোষাগারে জমা দিয়ে রশিদ সংগ্রহ করে ইজারাদার হিসেবে বাজারটি পরিচালনা করে আসছে। কিন্ত নিয়ম না থাকলেও ইজারাকৃত গরুর হাটের পাশেই আরেকটি গরুর হাট বসানো হয়েছে। দীর্ঘদিনের পুরনো ইজারাদারকৃত গরুর হাটে ক্রেতা ও বিক্রেতাদের বাধা দেওয়ার অভিযোগ ওঠেছে। দোয়ানীচালা এলাকার নওজেশ আলী ও ঠাকুরপাড়া এলাকার আজিবর রহমান অনুমোদনহীন অস্থায়ী পশুর হাট বসানোর ফলে বৈধ ইজারাদাররা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। জামালপুর চৌরাস্তার হাট কালিয়াকৈর উপজেলার মধ্যে অন্যতম গরুর হাট। এখানে প্রতি শনিবার গরু, মহিষ,ছাগল, ভেড়া, কেনা বেচা হয়। এই হাটের এবারের সরকারি ইজারাদার কৃত মূল্য ১ কোটি ৫ লাখ ৩০ হাজার টাকা।
এবিষয়ে ইজারাকৃত হাটের ইজারাদার ফরহাদ হোসেন বলেন, আমি বৈধভাবে টেন্ডারের মাধ্যমে জামালপুর চৌরাস্তার হাটটি পেয়েছি। আমাকে সরকারি ভাবে আমাকে হাটটি বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে। ভ্যাট ট্যাক্সসহ সবমিলিয়ে খরচ হয়েছে ১ কোটি ৫ লাখ ৩০ হাজার টাকা। যা আমি সরকারি কোষাগারে জমা দিয়েছি। অথচ নিয়মবহির্ভুতভাবে ক্ষমতার জোরে আমার ইজারাকৃত হাটের পাশেই আরেকটি গরুর হাট বসানো হয়েছে। ইজারাকৃত হাটের পাশে আরেকটি হাট বসালে আমি ক্ষতিগ্রস্থ হব। বিষয়টির জন্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার হস্তক্ষেপ কামনা করছি। 
ইজারা বহির্ভুত হাটের পক্ষের শাহিনুর আলম বলেন, আমরা ঈদ উপলক্ষে এই গরুর হাট বসিয়েছি। আমাদের যারা বান্দা ব্যাপারী বা শুভাকাঙ্গী আছে তাদের অনুরোধে আমরা আমাদের নিজস্ব জমিতে হাটটি বসিয়েছি। তাছাড়া আমাদের হাট দোয়ানীচালা এলাকায়। ওই হাটের চেয়ে দুরে। এখানে কোন সমস্যা হওয়ার কথা না।
কালিয়াকৈর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কাউসার আহাম্মেদ বলেন, জামালপুর চৌরাস্তা এলাকায় ফরহাদ হোসেন বৈধ ইজারাদার। তিনি এবার হাটটি ইজারা পেয়েছেন। পাশেই আরেক হাট অস্থায়ীভাবে নিজস্ব জমিতে বসিয়েছে। তাদের কোন অনুমোদন দেওয়া হয়নি। বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মন্তব্য