দিনাজপুর হিলি প্রতিনিধি
মোঃওয়াজ কুরনী
দিনাজপুরের হাকিমপুর হিলিতে পুলিশের সাঁড়াশি অভিযানে সীমান্তের দক্ষিন বাসুদেবপুর (চুড়িপট্টি) এলাকার হিলি বিওপি ক্যাম্পের সামনে থেকে ৪৯০ পিচ নেশা জাতীয় ইনজেকশন (এ্যাম্পল) এবং ৭ বোতল ভারতীয় অফিসার চয়েস মদ উদ্ধার করেছে থানা পুলিশ।
সোমবার (২ জুন) বিকেল সাড়ে ৬টায় পৌর শহরের দক্ষিণ বাসুদেবপুর (চুড়িপট্টি) এলাকার মৃত আঃ সালামের ছেলে ইমনের বাড়ি থেকে এসব মাদক উদ্ধার করে হাকিমপুর থানা পুলিশ। তবে মাদক উদ্ধারের অভিযানের সময় পুলিশ ও বিজিবির কিছুটা ভূল বুঝাবুঝি হওয়ায় সুযোগ বুঝে আসামী পালিয়ে যায়। ফলে হাতেনাতে আসামি আটক করতে পারেনি পুলিশ সদস্যরা।
বিষয়টি নিশ্চিত করে হাকিমপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মোঃ নাজমুল হোসেন বলেন, থানা এলাকায় আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি ও মাদক উদ্ধারে পুলিশ এর অভিযান অব্যাহত রয়েছে। তারই ধারাবাহিকতায় আজকে ওয়ারেন্টভুক্ত আসামী ধরার জন্য পুলিশের একটি টিম পৌর শহরের দক্ষিন বাসুদেবপুর এলাকায় হিলি বিওপি ক্যাম্পের সামনে যায়। পরে গোপন সয়বাদের ভিত্তিত্বে জানতে পারে যে, ইমন নামে এক ব্যক্তির বাড়িতে মাদক কেনা বেচা হচ্ছে। পুলিশ সদস্যরা তাৎক্ষণিক ওই বাড়িতে অভিযান করতে চাইলে বিজিবি সদস্যরা উর্ধ্বতন কতৃপক্ষের অনুমতি নেওয়ার কথা বলেন। পুলিশ সদস্যরা বিষয়টি আমাকে জানালে সঙ্গে সঙ্গে আমি ঘটনা স্থলে উপস্থিত হয়ে জয়পুরহাট-২০ ব্যাটালিয়ান এর অধিনায়ক ও এএসপি (ক্রাইম) মহোদয়ের সাথে কথা বলে ওই বাড়িতে অভিযান পরিচালনা করে ৪৯০ পিচ এ্যাম্পল এবং ৭ বোতল ভারতীয় অফিসার চয়েস মদ উদ্ধার করা হয়। মাদকগুলো উদ্ধার করে থানা আনা হয় এবং মাদক আইনে মামলা করা হবে।
এখানে পুলিশ ও বিজিবির মধ্যে যেটুকু ভূল বুঝাবুঝি হয়েছিল তার অবসান ঘটেছে। কারণ সীমান্ত এলাকায় পুলিশ অভিযানে গেলে বিজিবির অনুমতি নেওয়া প্রয়োজন। পরে বিষয়টি বিজিবির অধিনায়ক মহোদয়কে মুঠোফোনে অবগত করলে তিনি সঙ্গে সঙ্গে অনুমতি দিয়েছেন। এ বিষয়ে জয়পুরহাট ২০ বিজিবির অধিনায়ক লেঃ কর্নেল আরিফুদ দৌলা বলেন, মাদক উদ্ধারে পুলিশকে বাধা দেওয়া হয়নি, বরং আমাদের বিজিবির সদস্যরা পুলিশকে সহযোগীতা করেছে। সীমান্ত এলাকায় অভিযান পরিচালনা করতে হলে কিছু নিয়ম আছে, তা মেনে পুলিশ অভিযান করতে পারে। পরে থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি আমাকে মুঠোফোনে অবগত করলে আমি সঙ্গে সঙ্গে অভিযানের অনুমতি দিয়েছি।
মন্তব্য