এস চাঙমা সত্যজিৎ
স্টাফ রিপোর্টারঃ
“ফাইবাইদি চুং যতনো থাংসা অংগই বরক দফানি হামক্রাই তেই মৌথাংজাকনা”—এই ত্রিপুরা ভাষার স্লোগানে মুখর ছিল খাগড়াছড়ির সাংস্কৃতিক ইনস্টিটিউট মিলনায়তন। বাংলাদেশ ত্রিপুরা যুব সংসদের কেন্দ্রীয় সম্মেলন ও দ্বিবার্ষিক কাউন্সিলে মিলেছিল সাংগঠনিক শক্তি আর সংস্কৃতির এক মনোজ্ঞ মেলবন্ধন।
এ সম্মেলনে বিগত দুই বছরের কর্মপরিকল্পনার মূল্যায়নের পাশাপাশি ভবিষ্যতের দিকনির্দেশনা নির্ধারণ করা হয়। বক্তারা বলেন, পাহাড়ি যুবসমাজের ঐক্য, সাংগঠনিক দক্ষতা ও সাংস্কৃতিক চেতনা গড়ে তুলতেই এ আয়োজন।
সম্মেলনে রূপক কুমার ত্রিপুরা সভাপতি, সাগর ত্রিপুরা সাধারণ সম্পাদক এবং প্রবীর ত্রিপুরা সাংগঠনিক সম্পাদক করে ২৩ সদস্য বিশিষ্ট কেন্দ্রীয় কমিটি গঠন করা হয়।
আলোচনা শেষে কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হয়। পরে ত্রিপুরা ঐতিহ্যবাহী গানে-নৃত্যে মুখর হয়ে ওঠে মিলনায়তন।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন দ্বীনময় রোয়াজা, সাবেক ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার, বাংলাদেশ ব্যাংক।
অন্যান্যদের মধ্যে বাংলাদেশ ত্রিপুরা যুব সংসদের উপদেষ্টা ডা. দীপা ত্রিপুরা, উপদেষ্টা রামেন্দ্র লাল ত্রিপুরা, লতিবান ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ভূমিধর রোয়াজা, খাগড়াছড়ি কার্বারী এসোসিয়েশনের সভাপতি রণিক ত্রিপুরা, বাংলাদেশ ত্রিপুরা যুব কল্যাণ সংসদের সভাপতি নবলেশ্বর দেওয়ান লায়ন, অবসরপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক প্রার্থনা কুমার ত্রিপুরা সহ খাগড়াছড়ি, রাঙামাটি ও বান্দরবানের ত্রিপুরা যুব সংসদের নেতাকর্মীরা, সমাজকর্মী ও সাংস্কৃতিক সংগঠকরা উপস্থিত ছিলেন।
আয়োজক কমিটির পক্ষ থেকে জানানো হয়, সাংগঠনিক ঐক্য ও সংস্কৃতির ধারাবাহিকতা রক্ষায় নিয়মিত এমন আয়োজন করা হবে।
মন্তব্য