
বাবুল রানা মধুপুর টাঙ্গাইল প্রতিনিধি:
টাঙ্গাইলের মধুপুর উপজেলাধীন কুড়ালিয়া ইউনিয়নের বানিয়াবাড়ী বান্দাভিটা এলাকায় একটি তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের ধারালো অস্ত্রের আঘাতে কামাল হোসেন নামে একজন গুরুতর ভাবে আহত হয়েছে। তিনি উক্ত এলাকার মৃত মকবুল হোসেনের ছেলে।
জানা যায়, গত সোমবার ০২ জুন সকাল সাড়ে ৭টায় দিকে জামাল ও মজনু মিয়া তাদের নিজ কাঁঠাল গাছ থেকে কাঁঠাল পারতে গেলে পাশের বাড়ির মৃত ওয়াহেদ আলীর ছেলে মোস্তফা এসে বাধা প্রদান করেন। এ নিয়ে তাদের মধ্যে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে গাছের মালিক জামাল ও তার স্ত্রীকে মোস্তফা ধারালো অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে তার বাড়িতে নিয়ে মারধর করতে থাকে। তাদের ডাক চিৎকার শুনে পাশের বাড়ির কামাল হোসেন দৌড়ে গিয়ে তাদেরকে বাঁচানোর চেষ্টা করে। এ সময় মোস্তফা তাকেও লাঠি দিয়ে পিটাইতে থাকে। পরে মোস্তফা পাশে থাকা ধারালো দা দিয়ে কামালকে আঘাত করলে সে ধারালো অস্ত্রে আঘাতে কামালের বাম পাশের গাল কেটে মুখের ভিতরে ঢুকে যায় এবং সে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে জ্ঞান হারিয়ে ফেলে। পরবর্তীতে স্থানীয় লোকজন তাকে মুমূর্ষু অবস্থায় উদ্ধার করে মধুপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে ভর্তি করে। বর্তমানে কামাল হোসেন মুমূর্ষু অবস্থায় মধুপুর হাসপাতালে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে। এই সন্ত্রাসী মোস্তফা আওয়ামীলীগের প্রভাব খাটিয়ে দীর্ঘ ১৭ বছর এলাকায় বিভিন্ন অপকর্ম চালিয়ে মামলা হামলার ভয়ভীতি দেখিয়ে লক্ষ লক্ষ টাকা আত্মসাৎ করেছে বলে অভিযোগ করেছেন অনেকে। এই দুষ্কৃতিকারী মোস্তফার অত্যাচারে এলাকাবাসী অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে। তার অত্যাচারের স্বীকার ৭০ বছরের এক বৃদ্ধা এবং ৮০ বছরের তাহের নামের এক বৃদ্ধ। তাদেরকে ধরে নিয়ে পিটিয়ে পা ভেঙে দেওয়া হয়েছে বলে জানান এলাকাবাসী। এ ঘটনায় তার বিরুদ্ধে মামলা হলেও সাক্ষীদের আদালতে যাওয়ার পথ আটকিয়ে মারধরের ঘটনাও ঘটিয়েছে এ দুস্কৃতকারী মোস্তফা। তার ভয়ে কেউ সাক্ষী দিতে না পাড়ায় মামলাটির এখনও কোনো সুরাহা হয়নি বলে জানান হতদরিদ্র অসহায় এ বৃদ্ধা। এছাড়াও তার অশ্লীলতার কারণে এলাকার মা বোনেরা রাস্তায় বের হতে পারেনা বলে জানিয়েছেন এলাকাবাসী। দুষ্কৃতিকারী সন্ত্রাসী মোস্তফাকে দ্রুত গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনার জন্য প্রশাসনের নিকট জোর দাবি জানিয়েছেন তারা।
এঘটনায় কামালের স্ত্রী এলিজা বাদী হয়ে মধুপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। আসামিদের দ্রুত গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনা হবে বলে জানিয়েছেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই হেলাল উদ্দিন।
বাবুল রানা
মধুপুর টাঙ্গাইল
০৬-০৬-২০২৫