
মোঃসাদেকুল ইসলাম সোহেল, দিনাজপুর প্রতিনিধি
ঢাকা বিমানবন্দর শুক্রবার সকালবেলা ঈদ যাত্রায় ঢাকা থেকে নারীর টানে ঘরমুখো মানুষের উপচে পরা ভীড় লক্ষ্য করা গেছে।
আজ ৬ ই জুন, ২০২৫ খ্রীস্টাব্দ রোজ শুক্রবার ঢাকা থেকে সৈয়দপুরে নীলসাগর এক্সপ্রেস ট্রেনে ভ্রমনের উদ্দেশ্যে ঢাকা বিমানবন্দর স্টেশনে পৌঁছালে যাত্রীদের উপচেপরা ভীড় চোখে পরে।একদিন পরেই আগামীকাল শনিবার মুসলমানদের বৃহৎ ধর্মীয় উৎসব পবিত্র ঈদ -উল- আযহা পালিত হবে।প্রতিবছর ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্য ও আত্মীয় স্বজনদের সাথে আনন্দ ভাগাভাগী, মাংস বন্টন ও মুসলিম উম্মাহর শান্তি কামনা করে মুসলমানদের বৃহৎ ধর্মীয় উৎসব পবিত্র ঈদ উল আযহা উদযাপিত হয়।
সকাল ৭ টায় ঢাকা বিমানবন্দর স্টেশন গিয়ে লক্ষ্য করা যায়, উত্তরবঙ্গগামী চিলাহাটি অভিমুখে নীলসাগর এক্সপ্রেস ট্রেনটি সকাল ৭.১৩ মিনিটে বিমানবন্দর স্টেশন ছাড়ার কথা থাকলেও ৪৭ মিনিট বিলম্বে সকাল ৮.০০ টায় স্টেশন ছেড়ে যায়। ঘরমুখো মানুষেরা আগামীকাল পরিবারের সাথে ঈদ পালন করার জন্য হুড়োহুড়ি করে ট্রেনে উঠেন অনেকে ট্রেনের বগিতে উঠতে না পেরে ছাদে উঠতেও দেখা যায়। টিকেট কেটেও যাত্রীদের ভীড় ঠেলে নিজ আসনে যেতে অনেক যাত্রীকে বেগ পেতে দেখা গেছে।
টিকেট কেটেও সিটে বসতে পারে নি এমন একজন যাত্রীকে দেখা যায় যিনি টিকেট কাটছেন ‘ঞ’ বগির সিট নং ৪৩ কিন্তু ভুলক্রমে ‘ঝ’ বগিতে উঠেন ট্রেনের কামরায় যাত্রীদের এত পরিমান ভীড় যে যা ঠেলে তার কাংক্ষিত সিটের কাছে যাওয়া সম্ভব হয় নি এসময় ঐ মহিলা যাত্রিকে কাঁদতে দেখা যায় এবং বলতে শুনা যায় জীবনে এমন কষ্ট করে ঈদে বাড়ি যাবে না। ট্রেনের ছাদে উঠা আইনত দন্ডনীয় অপরাধ এই বিষয়ে আইনশৃংখলা বাহিনীর একজনের সাথে কথা হলে তিনি সদুত্তোর দিতে পারেননি তবে একথা বলেন ঈদে সবাই গ্রামের বাড়িতে পরিবারের সাথে ঈদ করতে চায় কাকে বাধা দিবেন বলেন। ট্রেনের ছাদের যাত্রীর সাথে কথা হলে তারা জানান, প্রচন্ড রোদ বৃষ্টি উপেক্ষা করে সামান্য কষ্ট হলেও রাত পেরিয়ে ঈদ পরিবারের সাথে উপভোগ করতে পারবো ভেবে অনাবিল আনন্দ উপভোগ করছি। স্টেশনের মাইকে ঘোষণা দিয়ে বিনা টিকেটে রেল ভ্রমন নিরুৎসাহিত করা হয় এবং বিনা টিকেটে রেলভ্রমন কারীদের জরিমানা সহ স্টান্ডিং টিকিটের ব্যবস্থা করা হয়। এবার ঘরমুখো মানুষদের ঈদ যাত্রা স্বস্তি,নির্বিঘ্ন ও নিরাপদ করার জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সরব উপস্থিতি লক্ষ্য করা গেছে। চাঁদাবাজি ও ছিনতাইকারীদের দৌরাত্ব তেমন চোখে পরে নি।
ঈদ সবার জীবনে বয়ে আনুক এক অনাবিল প্রত্যাশিত আনন্দ ও কল্যানময় জীবন।