
মোঃ ফয়সাল হোসেন, জেলা প্রতিনিধি রাজশাহী:-
“শিশু থেকে প্রবীণ, পুষ্টিকর খাবার সর্বজনীন” এই স্লোগানে আইপিএইচএন/ জাতীয় পুষ্টি সপ্তাহ-২০২৫/১১৩/৭৮৩এর স্বারক এবং
তারিখ ২১/০৫/২৫ ইং এর জনস্বাস্থ্য পুষ্টি প্রতিষ্ঠান পরিচালক(দায়িত্বপ্রাপ্ত) ডা.রওশনজাহান আখতার আলো স্বাক্ষরিত পত্র নির্দেশ উপেক্ষা করে রাজশাহীর মোহনপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সপ্তাহের কনটেন্ট (টিভিসি,ডকুমেন্টারি ইত্যাদি) সপ্তাহ জুড়ে প্রচার করার হয়নি কোন প্রকার প্রচার প্রচারনা ছাড়া ঘরোয়া ভাবে নিজের ইচ্ছামত দায়সারাভাবে মাত্র দুইদিন করে শেষ করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে জাতীয় পুষ্টি সপ্তাহ। এ জাতীয় ষ্টিয়ারিং কমিটির সিদ্ধান্ত অনুসারে বিল বোর্ডটি ৬ ফুট×৪ ফুট মাপের হবে এবং দৃশ্যমান স্থানে স্থাপন করতে ব্যানারটি১০ ফুট×৪ ফুট মাপের হবে প্রতিষ্ঠানে প্রবেশ দ্বারে লাগাতে নির্দেশ থাকলে পালন করা হয়নি। এই বিলবোর্ড ও ব্যানার খাতে ১৩ হাজার টাকা বরাদ্দ থাকলেও শুধুমাত্র একটি ছোট ব্যানার লাগানো আছে নেই কোন বিল বোর্ড। শুধু কাগজে কলমে মধ্যে সিমাবদ্ধ। গত ২৮ মে-০৩ জুন সারাদেশে চলবে সপ্তাহব্যাপী বিভিন্ন সচেতনতামূলক ও জনসম্পৃক্ত কার্যক্রম। কিন্তু ২৮ মে (বুধবার) বেলা ১২ টায় শুধু ফটোসেশন করে উপজেলা পর্যায়ে আয়োজিত এই পুষ্টি সপ্তাহের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আখতার হোসেন। সপ্তাহের উদ্ধোধন অনুষ্ঠানে পুষ্টি কার্যক্রমের সাথে সম্পৃক্ত সরকারী ও বেসরকারী প্রতিষ্ঠান এবং উন্নয়ন সহযোগী সংস্থাসমূহের প্রতিনিধিগণ উপস্থিত থাকার কথা থাকলেও কেউ উপস্থিত ছিলেন না।শুধুমাত্র দি হাঙ্গার প্রজেষ্ট গর্ভবর্তী মায়েদের নিয়ে পুষ্টি আলোচনা করা হয়। ২য় দিনে পুষ্টিখাতে সরকারে গৃহীত অর্জন চ্যাঞ্ঝোর মোকাবেলা উপায় ও শিশু পুষ্টি আলোচনা ও শিশুদের নিয়ে পুষ্টি বিষয়য়ে চিত্রাংকন,রচনা প্রতিযোগিতা ৪ টি গ্রুপ আয়োজনের নির্দেশ থাকলেও দায়সারাভাবে ২ টি অংশগ্রহন দেখানো হয়েছে। উপজেলা তালিকা মোতাবেক পর্যায়ে ফুড বাস্কেট বিতরন করতে নির্দেশ থাকলে তাতেও নিয়ম মানা হয়নি। ৩য় দিনে ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান ইসলামিক ফাউন্ডেশন সহযোগিতায় মসজিদে আগত মুসল্লীদের জুমার বয়ানে এবং অন্যান্য ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে জাতীয় পুষ্টি সপ্তাহ-২০২৫এর প্রতিপাদ্য ও পুষ্টিবার্তা প্রচার করতে হবে জাতীয় ষ্টিয়ারিং কমিটির কর্তৃক অনমোদিত নির্দেশে উপজেলা পর্যায়ে কমপক্ষে ৩ টি এতিমখানা/লিল্লাহ বোডিং/ শিশু সনদে পুষ্টিবার্তা প্রচার এবং পুষ্টিকর খাবারে আয়োজনের নির্দেশ থাকলেও।
উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাঃ আখতার হোসেন এবং মেডিকেল টেকনোলজিস্ট এমটি (ইপিআই) আলমগীর হোসেন উপজেলা সদরে একাধিক এতিমখানা ও শিশু সনদ থাকলে কোন প্রকার প্রচার প্রচার ছাড়াই আলমগীর হোসেন নিজ এলাকার মতিহার হাফিজিয়া মাদ্রাসা কিছু শিশুদের মাঝে খাবার বিতরন করে ফটোসেশন করেন। ৪র্থদিন মানব সম্পদ উন্নয়ন সামাজিক ও নিরাপত্তা ও কৈশোরকালীন পুষ্টি ব্যবস্থা করা হয়নি।৫ম দিন মাতৃপুষ্টি ও পারিবারিক সুসম খাবার মা সমাবেশ আয়োজন ব্যবস্থা গ্রহন করেননি। ৬ষ্ঠদিন প্রবীণ পুষ্টি বিষয়ে মুক্তিযোদ্ধা,প্রবীণ সংগঠনের মুখপাত্র,প্রবীণ সুশীল ব্যক্তিত্ব নির্দেশ থাকলেও পালন হয়নি। ৭ম দিনে সমাপনী ও পুরস্কার বিতরন অনুষ্ঠানে দায়সার ভাবে সমাপনী দেখানো হয়।
এ বিষয়ে রাজস্ব বিল প্রস্তুতকারক (এমটি-ইপিআই) আলমগীর হোসেন সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, আমরা শুধু স্বাস্থ্য কমপেক্্
মসজিদে প্রচার করেছি, মুক্তিযোদ্ধা প্রবীণদের বিভিন্ন পেশার গন্যমান্য ব্যক্তিদের নিয়ে পুষ্টি বিষয়ক আলোচনা করা হয়েছে কিনা? তাদের সম্মানী নেই তাদের ডাকা হয়নি। তিনি দম্ভের সাথে বলেন আমাদের কাছে সকল কার্যক্রমের ফটো আছে। এ বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাঃ আখতার হোসেন জানান,এ বিষয়ে (এমটি-ইপিআই) আলমগীর হোসেন ভালো বলতে পারবেন তবে আমরা নিয়ম মেনে করেছি। রাজশাহী সির্ভিল সার্জন ডাঃ এস আই এম রেজাউল করিম বলেন,আমি এ বিষয়ে অবগত না,তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।